আর্মিতে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন বাইডেন

ক্ষমতার প্রথম বছরেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সেই সিদ্ধান্ত উল্টে দিলেন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লিঙ্গগত পরিচয়ের কারণে কেউ সেনাবাহিনীর চাকরি হারাবে না বা অনুপযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হবে না।

অলাভজনক সংস্থা পাম সেন্টারের বিশ্লেষণ অনুসারে, ২০১৯ সালে প্রতিরক্ষা বিভাগে অন্তত ৮৯৮০ জন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি দায়িত্ব পালনরত ছিলেন।

হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বাস করেন লিঙ্গগত পরিচয় কারো সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার বাঁধা হতে পারে না এবং তিনি মনে করেন বৈচিত্রই হলো আমেরিকার মূল শক্তি।”

আমেরিকার নতুন প্রতিরক্ষা সচিব যিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত আর্মি জেনারেল, এক বিবৃতিতে বলেন, “যারা নিজেদের তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি বলে পরিচয় দেন, তারা যাতে কোনো রকম বাধা ছাড়া আর্মিতে যোগ দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

তিনি আরো বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী দেশের নাগরিকদের স্থানীয় ও বিদেশি শত্রুদের দেখে নিরাপদ রাখতে কাজ করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা আমাদের সহনাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করার বেলায় এই কাজ আরো ভালোভাবে করি।”

বিপুল চিকিৎসা খরচ এবং একতা নষ্ট করার অভিযোগে ২০১৭ সালে ট্রাম্প টুইটারে ঘোষণা দিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের আর্মিতে যোগদানের পথ বন্ধ করে দেন।

২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিরা আর্মিতে যোগ দিতে পারছেন না। তবে যারা সে সময় দায়িত্বরত ছিলেন, তারা কাজ করে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু নতুন কাউকে কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।