সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৮ ‘জরুরি’ নির্দেশনা

দেশের করোনা পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে যাচ্ছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যার উল্লম্ফন। করোনার এই বাড়বাড়ন্ত অবস্থা রুখতে ১৮টি ‘জরুরি’ নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। আজ সোমবার (২৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জারি করা ১৮টি নির্দেশনা হলো-

১. গণপরিবহনে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না এবং অবশ্যই মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
২. সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ অন্যান্য সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় জনসমাগম বন্ধ থাকবে।
৩. সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদরাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয়) এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
৪. জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী/অসুস্থ/বয়স ৫৫-এর ঊর্ধ্বের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে; প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে।
৬. বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
৭. অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা/আড্ডা বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া যাবে না।
৮. হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি মানুষের প্রবেশ করতে পারবে না।

৯. মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
১০. পর্যটন-বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল-থিয়েটারে জনসমাগম সীমিত করতে হবে।
১১. ওষুধের দোকানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
১২. স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

১৩. শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
১৪. ঘরের বাইরে মাস্ক পরিধান না করলে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫. করোনায় আক্রান্ত কিংবা লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদেরও কোয়রেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
১৬. সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।

১৭. কর্মক্ষেত্রে থাকা অবস্থায় সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
১৮. সশরীরে উপস্থিত হতে হয়, এমন যেকোনো ধরনের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।