রোনালদোর পরিবারের অজানা গল্প, হয়তো অনেকেই জানেন না

এই প্রজন্মের সেরা দুই ফুটবলারের একজন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ফুটবলের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন এমন লোক পর্তুগিজ যুবরাজ সম্পর্কে কম-বেশি অনেক কিছুই জানেন। কিন্তু ‘সিআর সেভেনে’র এমন কিছু টুকরো গল্প আছে যা হয়তো অনেকেই জানেন না। এখানে তুলে ধরা হচ্ছে তেমনই একটা গল্প।

ফুটবলার হিসেবে রোনালদোর বেড়ে ওঠা, আজকের রোনালদো হয়ে ওঠার সংগ্রামী গল্পটা গত কয়েক বছরে জেনেছে বিশ্ব। পর্তুগিজ যুবরাজ যে দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন এটাও সবার জানা। কিন্তু তাদের পরিবারের দারিদ্র্য আরো কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল বাবা হোসে ডিনিস এভেইরোর কারণে। যিনি পেশায় একজন মালি এবং খণ্ডকালীন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন।

এমনিতেই ডিনিসকে সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হতো। তারওপর তিনি প্রচুর মদ্যপান করতেন। এতে করে আরো দুর্দশা নেমে আসে পরিবারে। দুই ছেলে দুই মেয়ে এবং স্ত্রী সবমিলিয়ে ছয়জনের খরচ বহন করা ডিনিসের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। কিন্তু এত কষ্ট করতে চাননি তিনি; চেয়েছিলেন কিছুটা লাঘব করতে।

চতুর্থ সন্তান অর্থাৎ রোনালদোর আগমন চাননি ডিনিস এবং দোলোরেস। কারণ রোনালদোর আগেই এই দম্পতির ঘরে এসেছে এক ছেলে ও দুই মেয়ে। তাই দারিদ্র্য বাড়াতে চাননি। কষ্ট করে চতুর্থ সন্তানকে বড় করে তুলতে চাননি। তিন দশকেরও বেশি সময় আগে রোনালদো যখন মায়ের গর্ভে, তখন দোলোরেস সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গর্ভপাত করানোর!

পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সিদ্ধান্ত পালটান দোলোরেস। কারণ গর্ভপাত করালে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে পারতেন তিনি। প্রায় সাত বছর আগে দোলোরেস তার প্রকাশিত আত্মজীবনী মায়ে কোরাখেম (সাহসী মা)-এ চমকপ্রদ কথাটা লিখেছেন। চার সন্তানের জনক ডিনিসকে নিয়েও লিখেছেন।

২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে রোনালদোর বাবা যখন মারা যান তখনো ডিনিসের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতেন না। দোলোরোস তার আত্মজীবনীতে জানান, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই ডিনিসের মৃত্যু হয়েছে।