টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন বা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে একযোগে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এমন সময় দেশে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হলো, যখন বিগত এক বছরের বেশি সময় পর একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

দেশে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু, ফাইল ছবি

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনার টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে ভ্যাকসিন দেওয়ার মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। তবে সারাদেশে গণ-টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৭ ফেব্রুয়ারি।

বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনার টিকা। যা কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। একজন ব্যক্তিকে দুই মাসের ব্যবধানে এই টিকার দুটি ডোজ নিতে হয়।

এদিকে, দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জনসাধারণের উদ্দেশে টিকা গ্রহণ নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-

সম্প্রতি ভারত থেকে দেশে আসে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় চালান

# বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে।

# যারা টিকার জন্য নির্বাচিত হবেন তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস চলে যাবে। তবে যাদের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দুই মাস অতিবাহিত হয়েছে অথচ এসএমএস পাননি, তারা অবশ্যই টিকা কেন্দ্রে চলে আসবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই টিকা কার্ড ও টিকা কার্ডের ফটোকপি নিয়ে আসতে হবে।

# যারা করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য আসবেন, তাদের সবাইকে টিকা কার্ড এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে হবে। কারো টিকা কার্ড হারিয়ে গেলে কিংবা কোনো কারণে নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় অনলাইন থেকে উঠানো যাবে।

# টিকার দ্বিতীয় ডোজ দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগে নেওয়া যাবে না। তবে দুই মাসের পরেও (১২ সপ্তাহ পর্যন্ত) নেওয়া যাবে।

# হজের জন্য যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি, তারাই রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। (এ রকম হজযাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করে তাদের ভ্যাকসিন নিতে বলা হয়েছে। কারণ সৌদি আরবের হজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণের সদন ছাড়া এ বছর হজে অংশ নিতে দেওয়া হবে না)।

# দ্বিতীয় ডোজ শুরু হলেও প্রথম ডোজের টিকা কর্মসূচি যথারীতি আগের মতোই, এমনকি আসন্ন রমজান মাসেও অব্যাহত থাকবে। তাই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

# ভ্যাকসিনের মজুদ পর্যাপ্ত আছে, তাই শেষ হওয়ার ভয়ে কেউ ভীত হবেন না। গুজবে কান দিবেন না, রোজা রেখেও নেওয়া যাবে ভ্যাকসিন।

# আপাতত কেন্দ্র পরিবর্তন করে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে না।

# বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরে টিকা কেন্দ্রে আসতে হবে। একই সঙ্গে প্রত্যেক টিকা গ্রহণকারীকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।