রাজত্বে ফেরার চ্যালেঞ্জ হায়দরাবাদের

দুদিন আগে শুরু হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪তম আসর। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী আট দলকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ প্রতিবেদন। এবারের আয়োজনে থাকছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টুর্নামেন্টে দলটির সম্ভাবনা, শক্তিমত্তা, দুর্বলতাসহ তথা মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারের পাঠকদের জন্য-

আইপিএলের ‍শুরুর দিকটায় ছিল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টুর্নামেন্টের যাত্রা শুরুর চার বছর পর প্রতিষ্ঠা করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে অভিষেক হয় অরেঞ্জ আর্মিদের। প্রথম আসরেই প্লে-অফ পর্বে ওঠে হায়দরাবাদ। পরের দুই আসরে বাস্তবতা টের পায় দলটি।

দুবারই টুর্নামেন্টে ষষ্ঠ হতে হয়েছে। ২০১৬ সালে আসে প্রথম সাফল্য। ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বে প্রথমবার আইপিএল ট্রফির স্বাদ পায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এরপর প্রতিবারই শেষ চারে উঠেছে দলটি। ২০১৮ সালে আরো একবার শিরোপার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল অরেঞ্জ আর্মিরা। কিন্তু ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে দ্বিতীয় ট্রফি হাতছাড়া করে।

পরের দুই বছরই হায়দরাবাদের স্বপ্ন প্লে-অফ পর্বে আটকে যায়। তাই এবার শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে দলটি। শিরোপা জয়ের দৌড়ে এই দলকেও রাখা হয়েছে। কারণ ব্যাটিং এবং বোলিং- দুই বিভাগেই শক্তিশালী হায়দরাবাদ।

ডেভিড ওয়ার্নার

শক্তিমত্তা

সানরাইজার্সের সবচেয়ে বড় শক্তি টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো। এই জুটি আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল। দুজনের ব্যাট চলে সমান তালে। টপ অর্ডারে আছেন কেন উইলিয়ামসনের মতো ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটসম্যান। কীভাবে ম্যাচ বের করে আনতে হয় এটা ভালোই জানা আছে নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের।

অরেঞ্জ আর্মিদের শক্তির আরেকটা জায়গা আফগানত্রয়ী। মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান- তিনজনই টি-টোয়েন্টি সংস্করণের বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটার। তাদের কারণে এই আসরে সবচেয়ে শক্তিশালী স্পিন বিভাগ হয়ে উঠেছে হায়দরাবাদের। এছাড়া দুজন অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করতে পারেন। সবমিলিয়ে দলটাতে তিনজন অলরাউন্ডার আছে, যা হায়দরাবাদের স্বপ্নযাত্রাকে অনেকদূর এগিয়ে দিতে পারে।

দুর্বলতা

হায়দরাবাদের টপ অর্ডার পরীক্ষিত। উল্টো চিত্র মিডল অর্ডার। এই জায়গায় অনভিজ্ঞ তারা, যা দলটিকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারে। প্রিয়াম গার্গ, মনীশ পান্ডে, বিজয় শঙ্করের মতো অনভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের নিয়ে গঠিন তাদের মিডল অর্ডার। দলটিতে নেই বিশ্বমানের কোনো বিদেশি পেসার।

এই দলটা একসময় আইপিএলে পেস বিভাগে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। ভুবনেশ্বর কুমার, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো পেসাররা কমলা রঙের জার্সিতে আলো ছড়িয়ে গেছেন। এবার জেসন হোল্ডার তাদের কাছে সবেধন নীলমণি। দলটির আরেক উদ্বেগের কারণ অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের ইনজুরি। গত মৌসুমে দলের বেশ কয়েকজনকে ভুগিয়ে ইনজুরি। এবারও দুশ্চিন্তা থাকছে।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ স্কোয়াড

কেন উইলিয়ামসন, জনি বেয়ারস্টো, ভুবনেশ্বর কুমার, মনীষ পান্ডে, বিজয় শঙ্কর, শ্রীভাটস গোসামি, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, মিচেল মার্শ, জেসন হোল্ডার, ঋদ্ধিমান শাহা, অভিষেক শর্মা, খলিল আহমেদ, সন্দীপ শর্মা, সিদ্ধার্থ কৌল, শাহবাজ নাদীশ, বসিল থামপি, নাতারাজান, বিরাট সিং, প্রিয়াম গার্গ, আব্দুল সামাদ, জগদীশ সুচিথ, কেদার যাদব, মুজিবুর রহমান।