দেশে করোনার ‘তৃতীয় ঢেউ’র আশঙ্কা

প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত রোগী বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ, আসে প্রথম ঢেউ। এরইমধ্যে ভাইরাসটির দ্বিতীয় ঢেউ বয়ে যাচ্ছে দেশের ওপর দিয়ে। এমন অবস্থায় আগামী মাসেই ‘আরেক ঢেউ’ আচড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমছে থাকলেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন জারি রেখেছে সরকার। কিন্তু ঈদে স্বাস্থ্যবিধির না মেনে মানুষ বাড়ি ফেরায় আরেকটি ঢেউ আসতে পারে, বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সেটি আগামী জুন মাসেই আঘাত হানতে পারে মন্তব্য করে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ সহিদুল্লাহ বলেন, এটি সামাল দেয়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জন্য কঠিন হবে।

বলা হচ্ছে, দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট যানবাহন ও ফেরিতে গাদাগাদি করে প্রচুর মানুষ বাড়ি ফিরছে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রমণ ঝুঁকি অনেক বেড়েছে। এসব মানুষ বাড়িতে গিয়ে পরিবারের জীবনও বিপন্ন করে তুলছেন।

এ ছাড়া ঈদ সামনে রেখে রাজধানীসহ সারাদেশে দোকানপাট ও শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড় তো আছেই। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে জোরালোভাবে।

এদিকে, সীমান্ত বন্ধ থাকার পরেও দ্রুত ছড়ানো করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কয়েকজন রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে। জনগণ এখনই সচেতন ও সতর্ক না হলে সেটিও বিস্তারের আশঙ্কা থাকছে।

প্রসঙ্গত, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে আরো ১ হাজার ২৩০ জনকে আক্রান্তসহ মোট শনাক্তের দাঁড়ালো ৭ লাখ ৭৬ হাজার ২৫৭।