স্বাস্থ্যমন্ত্রী: খামচি দিয়েছেন রোজিনা, নথিগুলো ছিল টিকার চুক্তি নিয়ে

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। গতকাল সোমবার (১৭ মে) এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। সমালোচনার ঝড় উঠছে চারদিকে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, সাংবাদিক রোজিনা যা করেছেন, তা অন্যায় হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সচিব সাহেবের পাশের রুমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় কিছু নথি রাখা ছিল। এগুলো ছিল রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে টিকার চুক্তি নিয়ে। সাংবাদিক রোজিনা সেগুলোর ছবি তোলেন এবং আরও কিছু নথি ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে নেন। এটা অন্যায় হয়েছে।

রোজিনাকে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এমন কিছু হয়নি। তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে মাত্র। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, উল্টো সাংবাদিক রোজিনাই অতিরিক্ত সচিবকে খামচি দিয়েছেন, থাপ্পড় মেরেছেন।

আসলে গুরুত্বপূর্ণ এবং ‘নন ডিসক্লোজার’ এসব ফাইল প্রকাশ হয়ে গেলে সেটা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হতো। টিকা সংক্রান্ত চুক্তির এসব নথি প্রকাশিত হবে না বলে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে কথা দিয়েছি। ফাইলের মধ্যেও তা লেখা আছে। তাই রোজিনা যা করেছেন, সেটা অন্যায় হয়েছে বলেই আমি মনে করি।

ঘটনার পর গতকাল সোমবার (১৭ মে) রাতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা ও তথ্য চুরির অভিযোগে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার ধারাগুলো হলো- ৩৭৯, ৪১১ এবং অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট এর ৩/৫।

এরপর আজ মঙ্গলবার রোজিনা ইসলামকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে পুলিশের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী বৃহস্পতিবার (২০ মে) তার জামিন আবেদন নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।