মন্ত্রী: এডিস মশা প্রজননে ভূমিকা রাখলে শাস্তি

বারবার সচেতন ও সতর্ক করার পরেও বাসাবাড়ি ও আশপাশে পানি জমিয়ে রাখার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এমনটি করে এডিস মশার প্রজননে ভূমিকা রাখলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সচেতনতামূলক প্রচারণায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

আজ শনিবার রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে এডিস মশা নিধনে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) এই আয়োজনে এডিসবাহিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া নিয়েও সচেতন করা হয় নগরবাসীকে।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশা নিধন করা ডিএনসিসির পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় প্রচারণা চলছে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, কারো গাফলতির জন্য পুরো সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা হতে পারে না। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, জড়িতদের জবাবদিহি করতে হবে।

এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে ঢাকার দুই সিটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এ জন্য নিয়োগে দেয়া হয়েছে ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট।

নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মশার প্রজনন বন্ধ করতে পারলে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা

এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে কাউন্সিলরসহ নগরবাসীকে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

রোদ শেষে বৃষ্টি আবার বৃষ্টির পর রোদ- এ রকম আবহাওয়া এডিস মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল বলেন, এই মশা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জীবাণু বহন করে থাকে। এটি যাতে বিস্তার লাভ করতে না পারে, সেজন্য ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

বাসায় এডিসের লার্ভা থাকার বিষয়ে সতর্ক করে মেয়র আতিকুল বলেন, কোনো বাসায় লার্ভা পাওয়ার সপ্তাহ পর ফের একই ঘটনা ঘটলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডির সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ডিএনসিসির প্রধান নিবার্হী সেলিম রেজা ও অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী প্রমুখ।