তেলের সঙ্গে বাড়লো চাল-ডাল-পেঁয়াজের দামও

মাত্র মাসখানের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারপ্রতি ১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানায় তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠনটি। এর পর হঠাৎ করেই অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে আজ শুক্রবার, বিরাজ করছে অস্থিরতা।

নিত্যপণের দোকান, ফাইল ছবি

রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লিটারপ্রতি সয়াবিন তেল ১০-১২ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে রসুন ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৫ টাকা, আলু ৫ টাকা, চাল ২-৪ টাকা ও লবঙ্গ ১০০ টাকা বেড়েছে।

গতকাল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৫৩ টাকা, খোলা সয়াবিন ১২৯ টাকা ও পাম সুপার ১১২ টাকা দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে বোতলজাত তেলের লিটার আগে ১৪৪ টাকায় বিক্রি হতো, যাতে এখন বেড়েছে ৯ টাকা। সে অনুযায়ী, ৫ লিটারের এক বোতল তেলের দাম পড়বে ৭২৮ টাকা।

জানা গেছে, গত অক্টোবরে পাঁচ লিটারের এক বোতল সয়াবিন ৫০৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এরপর থেকে তা বাড়তে বাড়তে ৭২৮ টাকায় এসে পৌঁছালো। এর ফলে মাস ছয়েকের ব্যবধানে ২২৩ টাকা বাড়ানো হলো। নতুন দাম আগামীকাল শনিবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

সয়াবিন তেল, ফাইল ছবি

আজ কারওয়ানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, সয়াবিন তেলের প্রতিলিটার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৩৫ টাকা। ৬৩৫ টাকার পাঁচ লিটারের বোতল ৬৮০ টাকা, ১১৮ টাকার খোলা তেল ১২৬ টাকা, ১০৭ টাকার পামওয়েল ১১০-১১৪ টাকা এবং ১১০ টাকার সুপার বিক্রি হচ্ছে ১১৮ টাকায়।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, এক বছরের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে ৩৯ শতাংশ, ৫ লিটারের বোতলে ৩৪ শতাংশ, এক লিটারে ৩৫ শতাংশ এবং খোলা পামওয়েলে ৭৫ শতাংশ।

এদিকে, নতুন চাল আসলেও প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৭-৪৮ টাকা। ৫২ টাকার মাঝারি চাল ৫৬ টাকা, ৬২ টাকার চিকন চাল ৬৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে আজ। ফলে সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সাত দিনে দাম বেড়েছে কেজিতে মোটা চালে ২ দশমিক ২০ শতাংশ, মাঝারি চাল ৬ শতাংশ ও চিকন চাল ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।

মশলার দোকান, ফাইল ছবি

এ ছাড়া মশুর ডালে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭৫ টাকা। মাঝারি ডাল বিক্রি হয় ৯৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা। ফলে ডালে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে দাম।

গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৩৮-৪০ টাকা, যা এখন ৪৫ টাকা। আমদানি করা ৪০ টাকার পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহে যে আলু ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুনে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিরার কেজি ২০ টাকা বেড়ে ৩৪০ টাকা, লবঙ্গ ১০০ টাকা বেড়ে ১০০০ টাকা, ২৩০০ টাকার এলাচ ২৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে আজ।