ইউরো ২০২০: পর্তুগিজ যুবরাজকে ডাকছে ৫ রেকর্ড

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নেতৃত্বে স্বপ্নপূরণ হয়েছে পর্তুগালের। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো বড় কোনো সাফল্য পায় পর্তুগিজরা। ‘সিআর সেভেনে’র দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও অনুপ্রেরণায় ফ্রান্সের মাটিতে পর্তুগাল জেতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। এবার শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে নামবে পর্তুগাল। যেখানে অনেকটাই নির্ভার রোনালদো।

আগামী ১১ জুন শুরু হচ্ছে ইউরো বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি রোনালদো নিয়েছেন ইতালিয়ান ফুটবলে আগুন ঝরিয়ে। ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকুকে হারিয়ে তিনি জিতে নেন গোল্ডেন বুট। ছন্দটা ইউরোতেও বয়ে আনতে চান ৩৬ বছর বয়সী রোনালদো। তাহলেই হয়ে যাবে বেশ কয়েকটি রেকর্ড। একনজরে তা দেখে নেওয়া যাক।

ইউরোর সর্বোচ্চ আসরে অংশগ্রহণ: ২০০৪ সালে ইউরো টুর্নামেন্টে অভিষেক হয় রোনালদোর। এ পর্যন্ত চারটি ইউরো টুর্নামেন্ট খেলেছেন পর্তুগিজ যুবরাজ। তার মতো চারটি আসর খেলেছেন আরো ১৬ জন ফুটবলার। এবার পর্তুগালের প্রথম ম্যাচেই অনন্য উচ্চতায় উঠে যাবেন রোনালদো। প্রথম ও একমাত্র ফুটবলার হিসেবে পাঁচটি ইউরো খেলার রেকর্ড গড়বেন তিনি।

ইউরোতে সর্বোচ্চ গোল: ইউরোতে অভিষেক ম্যাচেই গ্রিসের বিপক্ষে গোল করেন রোনালদো। এরপর এই টুর্নামেন্টে আরো আটটি গোল করেছেন তিনি। ভাগ বসান ফরাসি কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনির রেকর্ডে। প্লাতিনি সবকটি গোল অবশ্য করেছিলেন ১৯৮৪ আসরে। এক আসরে তিনিই সর্বোচ্চ গোলদাতা। আর এক গোল করলে প্লাতিনিকে ছাড়িয়ে যাবেন রোনালদো।

ইউরোতে সর্বোচ্চ ম্যাচ: ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলারদের একজন রোনালদো। বাছাইপর্বসহ ইউরোতে সর্বোচ্চ ৫৮টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড জিয়ানলুইজি বুফনের দখলে। আর তিন ম্যাচ খেললে ইতালিয়ান কিংবদন্তি গোলরক্ষককে ছাড়িয়ে যাবেন রোনালদো। ৫৮ ম্যাচের ৩৬টিতে জিতেছেন রোনালদো। ড্রয়ের মুখ দেখেছেন ১২টি ম্যাচে।

সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল: ইউরোর এবারের আসরে পর্তুগাল ফাইনালে উঠলে আরেকটি রেকর্ড হাতছানি দেবে রোনালদোকে। টুর্নামেন্টের ফাইনালে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোলের কীর্তি আছে বার্নড হলজেনবেনের। ১৯৭৬ সালে কীর্তিটি গড়েন পশ্চিম জার্মানির ফুটবলার। এবারের ফাইনালের দিন রোনালদোর বয়স হবে ৩৬ বছর ১৫৬ দিন।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোল: আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল ইরানের ফরওয়ার্ড আলি দাইয়ের। তাকে ছাড়িয়ে যেতে সাত গোল দরকার রোনালদোর। কার্যত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হিসেবে খেলছেন পর্তুগাল অধিনায়ক। রোনালদোর পেছনে আছেন আরব আমিরাতের আলি মাখবুত (৭৩), আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি (৭২) ও ভারতের সুনিল ছেত্রী (৭২)।