আফগান সেনাদের না বলেই বিমানঘাঁটি ছেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা

স্থানীয় সেনাদের না জানিয়েই আফগানিস্তানে নিজেদের মূল বিমানঘাঁটি ছেড়ে চলে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। মধ্য রাতে কোনো রকম নির্দেশনা না দিয়েই চলে যায় তারা।

ওই বিমানঘাঁটির নতুন কমান্ডার জেনারেল আসাদুল্লাহ কোহিসতানি বলেন, স্থানীয় সময় রাত তিনটার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা চলে যান। স্থানীয় সেনারা বিষয়টি টের পান বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে।

বাগরাম নামের ওই বিমানঘাঁটিতে একটি জেলখানাও আছে। সেখানে অন্তত ৫,০০০ তালেবান কয়েদি আছে।

মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানে তালেবানদের পুনরুত্থান ঘটছে। এর মধ্যেই তারা দেশটির এক তৃতীয়াংশে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে।

জেনারেল আসাদুল্লাহ সোমবার বলেন, তালেবান সেনারা বাগরামে যে কোনো সময় হামলা করতে পারে আফগান সেনারা এ রকম আশঙ্কা করছেন।

বিমানঘাঁটিতে অবস্থানকালে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, তারা এর মধ্যেই জানতে পেরেছেন আশপাশের গ্রাম এলাকায় তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, “আমেরিকানদের সাথে আমাদের তুলনা করলে অনেক বড় পার্থক্য পাওয়া যাবে। কিন্তু আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুসারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমরা যতোটা সম্ভব এই জায়গাটাকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবো এবং সবাই নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবো।”

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দেয় যে তারা বাগরাম ছেড়েছে, এবং এর মাধ্যমে আফগানিস্তানে তাদের অভিযানও শেষ হলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুসারে অবশ্য এ সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযান শেষ হবে।

আমেরিকান সেনারা ৩.৫ ভিন্ন ভিন্ন জিনিস আফগানিস্তানে ফেলে গেছে। এর মধ্যে আছে কয়েক লাখ পানির বোতল, এনার্জি ড্রিংক, মিলিটারি রেডিমেড খাবার। অনেক সিভিলিয়ান গাড়িও রেখে গেছে তারা, কিন্তু চাবি ছাড়া। এপি জানিয়েছে, কয়েক শ অস্ত্রে সজ্জিত গাড়িও রেখে গেছে আমেরিকান সেনারা।

জেনারেল আসাদুল্লাহ বলেন, তারা ভারি অস্ত্র নিজেরা নিয়ে গেছে এবং কিছু বোমার মজুত ছিলো, তা নষ্ট করে দিয়েছে। এর পাশাপাশি তারা আফগানদের জন্য রেখে গেছে ছোট ছোট অস্ত্র।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র মিলিটারির মুখপাত্র কর্নেল সনি লেগেট গত সপ্তাহে প্রকাশ করা একটি বিবৃতির কথা উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিন্ন ভিন্ন ঘাঁটিতে তাদের বিদায়ের বিষয়ে স্থানীয়দের অবগত করেছে।