ঈদ জামাতে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

করোনাকালে দ্বিতীয়বারের মতো আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশে উদযাপিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে গত বছরের মতো এবারও ঈদ জামাতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নির্দেশনা।

নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ, ফাইল ছবি

কোরবানির ঈদের কথা বিবেচনা করে ৮ দিনের জন্য কঠোর লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তারপরেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ পালিত হয়ে আসলেও তেমনটি হচ্ছে না এবারো। বরং করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি ও সীমিত আকারে আনন্দের ঈদ উদযাপিত হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, সংক্রমণ পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ঈদ জামাতের স্থান নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে। তবে সরকারের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায়, ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কোলাকুলি বা হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বাসা থেকে ওজু করে আসা, মাস্ক পরে মসজিদে প্রবেশ, কাতারে দূরত্ব বজায় রাখা, মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না, মসজিদের জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না এবং জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

আরো রয়েছে জীবাণুনাশক দিয়ে মসজিদ অথবা ঈদগাহ পরিষ্কার করা, প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা, ওজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা এবং ওজুর সময় ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া।

মসজিদে সুমল্লিরা, ফাইল ছবি

তবে শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং অসুস্থদের সেবা করা ব্যক্তিদের ঈদ জামাতে যাওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এই মহামারি থেকে মুক্ত হতে বেশি বেশি তওবা, কুরআন তিলাওয়াত এবং ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

এ ছাড়া এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার হবে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মানতে হবে অবশ্যই। এসব নির্দেশনা তদারকি করবে সংশ্লিষ্ট খতিব, ইমাম, মসজিদ অথবা ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন।

এর আগে গেলোবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময়ে জাতীয় ঈদগাহে কোনো জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।