ক্যানবেরায় হচ্ছে আইকনিক চ্যান্সেরি ভবন

বাংলাদেশ সরকার অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় একটি আইকনিক চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এ জন্য ১৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশি চ্যান্সেরি ভবন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে

সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ক্যানবেরায় থাকা বাংলাদেশ হাই কমিশন আগামী ২০২১ থেকে ২০২৫ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। আর এটি বাস্তবায়িত হলে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব জমিতে একটি আইকনিক চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণ হবে। এতে দেশটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

জানা গেছে, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তুত করে রেখেছে। আগামী বুধবার (২৮ জুলাই) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তা উপস্থাপন করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ মিশন, ফাইল ছবি

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ বলছেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক— বিশেষ করে উন্নয়ন সহযোগিতা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। তাছাড়া দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে ৬ গুণ। মূলত প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে এসব কথা বিবেচনা করেই।

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ক্যানবেরায় কর্মরত কর্মকর্তাদের জন্য যেমন সহায়ক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হবে তেমটি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্যানবেরায় সরকারের নিজস্ব জমিতে আইকনিক চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণ হবে। এতে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালে ক্যানবেরার কূটনৈতিক এলাকা ইয়ারালুমলাতে চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ১১০ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ দেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্লটটিতে চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করতে না পারায় জমিটি অস্ট্রেলিয়া সরকারকে ২০০৪ সালে ফেরত দিতে হয়।

এর পর বর্তমান সরকার ২০১০ সালে নতুন করে আবারো একটি প্লট বরাদ্দ পাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে ওই কূটনৈতিক এলাকায় ৭৪ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ দেয় অস্ট্রেলিয়ার সরকার। ১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা মূল্যের জমিটি বর্তমানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দখলে রয়েছে।