ভক্তদের দুঃসংবাদ দিলেন বেন স্টোকস

সামনেই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। মহাগুরুত্বপূর্ণ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগে ভক্তদের একটা দুঃসংবাদ দিলেন বেন স্টোকস। ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতি নিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডর। মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বাড়তি মনোযোগ দিতেই নির্বাসনের পথ বেছে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের নায়ক।

শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্টোকসের ক্রিকেট বিরতির খবরটি নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চিত করছে যে, ইংল্যান্ড পুরুষ দলের অলরাউন্ডার বেন স্টোকস সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতি নিয়েছেন।’

বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কে স্থগিত হয়ে যায় সব ধরনের খেলাধুলা। পরে গত বছরের প্রায় মাঝপথে মাঠে ফেরে ইংল্যান্ড দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নতুন শুরুর পর সবচেয়ে বেশি ধঁকল গেছে ইংলিশদের ওপর দিয়ে। প্রতিটি সিরিজ তাদের খেলতে হয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্য থেকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছে অনেক ক্রিকেটারকে।

তাদের মধ্যে অন্যতম স্টোকস। গত বছরের শেষ দিকে হারিয়েছেন বাবাকে। সেই ব্যথা নিয়ে মাঠে ফিরেও এসেছেন তিনি। এবার আর খেলতে পারছেন না স্টোকস। তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইসিবি।

বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলি জাইলস বলেছেন, ‘বেন (স্টোকস) যতো দিন খুশি সময় নেবে। আমরা ভবিষ্যতে তাকে ইংল্যান্ডের জার্সিতে দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। তার জন্য শুভ কামনা রইল।’

উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গত কয়েক বছর ধরে চলছেন স্টোকস। তারওপর জৈব সুরক্ষা বলয়ে একের পর এক সিরিজ নাভিশ্বাস করে তুলছে তার মানসিক অবস্থার। সম্প্রতি ব্রিটিশ এক প্রচারমাধ্যমে নিজের কলামেও খেলোয়াড়দের মানসিক যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেছেন স্টোকস। লিখেছেন চলমান ক্রিকেটের কঠিন চাপের কথাও। সবমিলিয়ে ক্রিকেট থেকে বিরতি নেওয়াটা তার জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে।

ইসিবির কাছে আবেদন করে এর সুফল পেয়েছেন স্টোকস। এ জন্য বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। বলেছেন, ‘আমরা সুন্দর হোটেলে থাকি। অনেক খরচ এখানে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমাদের অন্যদের মতো মানসিক চাপে থাকতে হয় না। আমরা প্রত্যেকে মানুষ এবং মানসিক স্বাস্থ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটারদের দিকটা বিবেচনা করে সঠিক কাজ করছে ইসিবি।’