‘সন্ত্রাসী হামলা’য় ভারতের যুক্ত থাকার অভিযোগ

পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, আজাদ কাশ্মিরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে পরিচালিত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সহায়তা করেছিল ভারত। ইসলামাবাদ সুস্পষ্টভাবে জুন মাসে লাহোরের জোহর টাউনে বিস্ফোরণের কথা উল্লেখ করে জানায়, পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে এসব রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে জড়িত ছিল ভারত। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের খবরে এ কথা বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফেজ চৌধুরী

পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসীরা ভারতে প্রবেশ করার অপেক্ষা করছে- ভারত কর্তৃপক্ষের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফেজ চৌধুরী। রোববার (৮ আগস্ট) দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানের তথাকথিত ‘সন্ত্রাসীরা’ নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) মাধ্যমে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে চেয়েছিল এমন ভিত্তিহীন অভিযোগকে আমরা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করি। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

গত সপ্তাহের শুরুর দিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে নামবিহীন নিরাপত্তা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ১৪০ জন সন্ত্রাসী জম্মু ও কাশ্মিরে অনুপ্রবেশের জন্য লঞ্চ প্যাডে অপেক্ষা করছে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখায় সন্ত্রাসের পরিকাঠামো এখনো রয়ে গেছে। তারা অতীতেও এমন চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতের সীমান্ত রক্ষাবাহিনীর কারণে তাদের ফিরে যেতে হয়েছিল।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত, ফাইল ছবি

ভারতের এ ধরনের প্রতারণামূলক অভিযোগ আগে থেকেই সুপরিচিত উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে হাফিজ হাফেজ চৌধুরী বলেন, ইইউর ডিনইনফো ল্যাব গত বছর এ ধরনের একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ব্রাসেলসভিত্তিক ওই তদন্তে বলা হয়েছিল, বিশ্বের ৬৫ দেশে ২৬৫টি ভুয়া স্থানীয় মিডিয়া ও এনজিও ভারতের হয়ে কাজ করছে। পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশকে দুর্বল করে গড়ে তোলার জন্য এই নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছিল।

জাহিদ হাফেজ চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে দখল করে রাখা জম্মু-কাশ্মির বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সামরিকীকৃত অঞ্চলের মধ্যে একটি। ভারত সেখানে বহুস্তরের বেড়া তৈরি করেছে, নজরদারি যন্ত্র স্থাপন করেছে এবং নিরাপত্তার একাধিক স্তর স্থাপন করেছে। ফলে সেখানে প্রবেশ করা যে কারো পক্ষে অসম্ভব। সুতরাং কিছু সময় পর পর ভারতের করা ধারাবাহিক এসব রুটিন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

বরং তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ভারতের মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসময় তিনি পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরে ও লাহোরের ঘটনা উল্লেখ করে তার জন্যও ভারতকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, ভারতকে অবশ্যই এ ধরনের মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা, এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের ফলে এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা আরো ক্ষুণ্ন হবে।