সব শব্দ বলা যাবে না মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায়

ভারতের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বেশ কিছু শব্দ ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শব্দগুলোকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে বলা হয়েছে, অধিবেশন চলাকালীন এই শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। যে শব্দগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে, তার অন্যতম হচ্ছে ‘পাপ্পু’। বিজেপি-র অনেক নেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর নাম উল্লেখ না করে এই নামে কটাক্ষ করেন। এ ছাড়া ঢঙি, ব্যাভিচারী, মিথ্যেবাদী, নিকম্মা, চোর, ভ্রষ্ট, তানাশাহি, গুণ্ডে প্রভৃতি শব্দকেও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ফেলা হয়েছে।

বিধানসভা ভবনে আয়োজিত পুস্তিকা প্রকাশনা অনুষ্ঠান

এই শব্দগুলো বিজেপি নেতৃবৃন্দ প্রায়ই কংগ্রেসের অনেক সিনিয়র নেতাকে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। আবার এর মধ্যে এমন অনেক শব্দও রয়েছে, যা বিরোধী দল ক্ষমতাসীন নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে আসছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ভেন্টিলেটর শব্দটিও রয়েছে এই তালিকায়। বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশে ভেন্টিলেটরের অভাবে অনেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই এই ধরনের শব্দ ব্যবহার বাতিল করা মানে বিরোধীদের আওয়াজ বন্ধ করার চেষ্টা।

এ শব্দগুলো ছাড়াও আর কী কী শব্দ বাদ দেয়া হয়েছে, তা জানাতে বিধানসভার পক্ষ থেকে ৩৮ পৃষ্ঠার একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে মোট ১ হাজার ১৬১টি শব্দের তালিকা দেয়া হয়েছে। শব্দগুলোর বেশির ভাগই অবশ্য হিন্দিতে। এটি প্রকাশ করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। বিধানসভা ভবনে আয়োজিত এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস প্রধান কমল নাথ, মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র, বিধানসভার অধ্যক্ষ গিরীশ গৌতম প্রমুখ।

ভারতের মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা

বইটি প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সংসদ এবং রাজ্য বিধানসভায় উত্তপ্ত বিতর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, অনেক সময় এমন হয় যে একজন ব্যক্তি বিধানসভায় কথা বলার সময় অনেক কিছু ভুলে যান। কোথায় বসে কী বলছেন, তা ভুলে যান। তাদের জন্যই এই পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (৯ আগস্ট) অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে বিধানসভার সদস্যদের এই পুস্তিকা দেয়া হয়।