হাসপাতালের ধারণা পাল্টে দিতে চান সৌদি নারী

সৌদি আরবের একজন বিখ্যাত ও সফল নারী ব্যবসায়ী খলৌদ আল হারবি। ইথার মেডিকেল কেয়ার করপোরেশনের মালিক এই নারী দ্য সৌদি হোম কেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আল-হারবি যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার সালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে করা চিকিৎসা গবেষণায় মাস্টার্সের পাশাপাশি নিবিড় পরিচর্যার ক্ষেত্রে তার বাস্তব অভিজ্ঞতাকে একত্র করেছিলেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রশাসনিক দক্ষতা তাকে হোম মেডিকেল কেয়ারে বিশেষ ব্যবসা শুরু করার পেছনে অবদান রেখেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, এই বিষয়গুলো তার কোম্পানিকে একই সেক্টরের অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছে।

হাসপাতাল সেবার পুরনো ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে চান আল-হারবি

আরব নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-হারবি বলেন, আমরা হোম মেডিকেল কেয়ারের গৎবাঁধা ধারণা থেকে বেরিয়ে অন্য একটি অনন্য ধারণায় আসতে পেরেছি। হাসপাতালে যে মানের সেবা দেয়া হয়, একই মানের চিকিৎসাসেবা অন্য যে কোনো জায়গাতেও দেয়া যায়। এতে অনেক শ্রম, সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।

তিনি আরো বলেন, তার কোম্পানি এথারের লক্ষ্য, দলের বৈচিত্র্যময় ও অনন্য অভিজ্ঞতা প্রয়োগের মাধ্যমে হোম মেডিকেল কেয়ারের ক্ষেত্রে পথিকৃত হওয়া। তিনি বলেন, আমরা এর মাধ্যমে হোম কেয়ারের প্রচলিত ধারণা পরিবর্তন এবং এর সম্প্রসারণও করতে পারি। আমরা দেশের সমস্ত অঞ্চলকে এর অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।

হেলথ কেয়ারের ধারণা ক্রমশই গুরুত্ব পাচ্ছে

আল-হারবি এই সেক্টরে নারীদের গুরুত্বের ওপর জোর দিতে আগ্রহী। তিনি বিশ্বাস করেন, সৌদি আরবের বর্তমান অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণে নারীরা অনেক বেশি অবদান রাখতে পারেন। তিনি বলেন, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দৃষ্টিভঙ্গি, বিশেষ করে তার আইনী উদ্যোগ ও সংস্কার দেশে অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখবে।

আল-হারবি দেশের ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন, যা প্রত্যেককে শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের উপযোগী করে গড়ে তুলবে। বিশেষ করে এমন প্রোগ্রাম যা নারীদের কাজ করার উপযোগী নমনীয় পরিবেশ প্রদান করতে সাহায্য করে। তিনি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সালে মিলে এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা দূরে থেকে এবং নমনীয়তার সাথে কাজ করার মাধ্যমে সমাজে নারীদের অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করবে।

আল-হারবি বলেন, নেতৃত্বের পদে নারীদের সাহায্য করার ব্যাপারে সরকারের আগ্রহ ব্যবসায়িক খাতে নারীদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ করে দিয়েছে। সৌদি যুবরাজের রূপকল্প শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের হার ২০৩০ সালের মধ্যে ২২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার জন্য সৌদি নারীদের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

তিনি বলেন, সৌদি নারীদের কর্মশক্তিতে প্রবেশের সুযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য বৃহত্তর সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতে অনেক সৌদি নারী উদ্যোক্তা দেশজুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তা ক্রমশই বাড়িয়ে যাচ্ছে।