জুভেন্টাসের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিল বার্সা

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নিজেদের শক্তি বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছিল জুভেন্টাস। বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড়ের দিকে নজর দিয়েছিল তারা। এর মধ্যে মিরালেম পিয়ানিচ অন্যতম।

মিরালেম পিয়ানিচ

পিয়ানিচকে পেতে বার্সার সাথে বৈঠকে বসেছিল জুভেন্টাস। তুরিনের ওল্ড লেডিদের কথায় সাড়া দেয়নি কাতালানরা। তাই আরও একটা মৌসুম ক্যাম্প ন্যুতেই থেকে যেতে হচ্ছে বসনিয়া হার্জেগোভিনার এই মিডফিল্ডারকে।

গত মৌসুমে জুভেন্টাস থেকে বার্সায় যোগ দেন পিয়ানিচ। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কাতালানদের হয়ে মাঠে নেমেছেন মাত্র ৩০ ম্যাচ। ৩১ বছর বয়সী ফুটবলার নিজেও চলতি গ্রীষ্মে পুরনো ঠিকানায় পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন।

পিয়ানিচ ছাড়াও ইকার্দির দিকে নজর ছিল জুভেন্টাসের। প্যারিস সেন্ট জার্মেই, পিএসজি থেকে এই আার্জেন্টাইন তারকাকেও দলে ভেড়াতে পারেনি। চলতি দলবদলে তাদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মইস কিন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, ইপিএলের দল এভারটন থেকে ইতালিয়ান ফরোয়ার্ডকে নিজেদের করে নিয়েছে সিরিআ জায়ান্টরা।

এদিকে গ্রিজম্যানকে দুই বছরের জন্য ধারে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে পাঠিয়ে দিয়েছে কাতালানরা। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে দুই বছর আগে অ্যাটলেটিকো থেকে গ্রিজম্যানকে দলে ভিড়িয়েছিল বার্সা। অথচ গত দুই বছরে ১০২ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৩৫ গোল। উল্টো বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারের বেতন টানতে হিমশিম খেতে হয়েছে ক্লাবকে। তাই চলতি মৌসুমে ১১তম খেলোয়াড় হিসেবে গ্রিজম্যানকে ছেড়ে দিল লা লিগা জায়ান্টরা।

২০১৪ সালে রিয়াল সোসিয়েদাদ থেকে অ্যাটলেটিকোতে নাম লেখান গ্রিজম্যান। পরবর্তী পাঁচ বছর দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন ক্লাবটির হয়ে। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৫৭ ম্যাচে ১৩৩ গোল করেছিলেন ফরাসি তারকা খেলোয়াড়।

গ্রিজম্যান

গ্রিজম্যানকে ফিরে পাওয়ায় আক্রমণভাগ আরও শক্তিশালী হল অ্যাটলেটিকোর। গত মৌসুমে বার্সা থেকে লুইস সুয়ারেজকে কিনেছে তারা। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন জোয়াও ফেলিক্স। সব মিলিয়ে লিগ শিরোপা ধরে রাখার মিশন অনেকটাই সহজ হয়ে গেল অ্যাটলেটিকোর।