আফগান ইস্যুতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্মেলন

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়ার একদিন পর আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সম্মেলন করেছে প্রতিবেশী দেশগুলো। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে অংশ নেন ইরান, পাকিস্তান, চীন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাকিস্তানের উদ্যোগে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর ভার্চুয়াল সম্মেলন

পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই সম্মেলনে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি উদ্ভূত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার ব্যাপারেও সম্মেলনে আলোচনা করা হয়।

সম্মেলন শুরুর আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল আফগানিস্তান স্থাপনের অভিন্ন লক্ষ্যে দেশটির প্রতিবেশীদের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দেবে এই সম্মেলন। কারণ প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ আফগানিস্তান এই অঞ্চলে ট্রানজিট বাণিজ্য, জনগণের মধ্যে বিনিময় ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।

তালেবানের নতুন সরকারের ঘোষণা দেন জবিউল্লাহ মুজাহিদ

এদিকে তালেবানের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নানা দেশ ও সংস্থা। তালেবানের এই সরকারের পদস্থ ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলায় জড়িত থাকায় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে তাদের এই উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেছে, তালেবানকে কথা নয়, কাজ দিয়ে বিচার করা হবে।

তবে কাবুলের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। তারা দেশটির নতুন সরকার ও নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখবে বলে জানিয়েছে। তবে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো কিছু জানায়নি বেইজিং।

তালেবান সরকার নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তুরস্ক। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনই অনুমোদন দেয়াটা বোকামি। আপাতত সতর্কতার সাথে বিবেচনা করা হবে এই সরকারকে। তবে তিনি প্রত্যাশা করেন, এই সরকার আফগানদের জন্য ভালো প্রমাণিত হোক।

কাতার সরাসরি কিছু না বললেও দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোলওয়াহ আল-খাতার এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের প্রশংসা করে বলেছেন, তারা বাস্তববাদিতা দেখিয়েছে। তবে আমরা স্বীকৃতি দেয়ার দৌড়ে নেই। আপাতত মধ্যপন্থা অবলম্বন করছি।

এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ বেশ কিছু সংস্থাও তালেবানের নতুন সরকার নিয়ে মন্তব্য করেছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন না করা বিশেষ করে সরকারে নারী সদস্য না রাখার কারণে তারা তালেবানের ব্যাপক সমালোচনা করেছে।

সূত্র: আলজাজিরা ও ডন