'আশঙ্কা' নিয়ে ব্রাজিলের দল ঘোষণা

সবশেষ আন্তর্জাতিক ফুটবল বিরতি চলাকালীন নাটক কম হয়নি। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় লিগে খেলা ল্যাটিন আমেরিকান ফুটবলাররা পড়ে যান বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। একদিকে দেশের দায়িত্ব পালনের ডাক, অন্যদিকে ছাড়ড়ত্র দিতে চাইছিল না ক্লাবগুলো। কিছু ক্লাব ছাড়পত্র দিলেও কয়েকটি ক্লাব ফুটবলারদের দেয়নি অনাপত্তিপত্র।

এনিয়ে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার কাছে নালিশ জানায় ল্যাটিন আমেরিকান দলগুলো। তাদের অভিযোগ ছিল মূলত ইংলিশ ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে। ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেয় ব্রাজিল। সবশেষ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সেরা একাদশের বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে তারা পায়নি ক্লাবগুলোর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে।

আগামী মাসেও আন্তর্জাতিক ফুটবল সূচি আছে। এবার অবশ্য কোনো ঝামেলা হবে না বলে আশাবাদী ব্রাজিল। এই পর্বে তিনটি ম্যাচ খেলবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচগুলো যথাক্রমে ভেনিজুয়েলা, কলম্বিয়া ও উরুগুয়ের বিপক্ষে। এই ম্যাচগুলোর জন্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা আট ফুটবলারকে নিয়ে দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল।

শুক্রবার রাতে টিটের ঘোষিত দলে আছেন ইংলিশ ফুটবলে খেলা অ্যালিসন বেকার, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ফ্যাবিনহো, এডারসন, এমারসন রয়্যাল, থিয়াগো সিলভা, ফ্রেড এবং রাফিনহা। যুক্তরাজ্যের কঠোর স্বাস্থ্যবিধির কারণে এসব ফুটবলারকে ছাড়েনি ইংলিশ ক্লাব। কারণ দেশটির লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো।

সেখানে ফুটবলারদের পাঠালে ফেরার সময় ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে তাদের। ফলে নিশ্চিতভাবেই কয়েকটা ম্যাচ মিস করবেন ওইসব ফুটবলার। এ কারণেই এ মাসে আন্তর্জাতিক বিরতির সময় ল্যাটিন অনেক ফুটবলারকে ছাড়পত্র দেয়নি ইংলিশ ক্লাবগুলো। এমনকি ফিফা অনুরোধ করলেও শোনেনি তারা।

এবারো যে ঝামেলা হবে না সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ব্রাজিল ফুটবলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকার, ইংলিশ লিগ কর্তৃপক্ষ ও ফিফার সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে তাদের। আগামী সপ্তাহে ফিরতি বৈঠক থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। যুক্তরাজ্যের মতো কঠোর স্বাস্থ্যবিধি আছে ব্রাজিলেরও। তারা আবার ইউরোপের দেশটিকে লাল তালিকাভুক্ত করেছে।

কাজেই সেখান থেকে কেউ দেশে ফিরলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে কাটাতে হবে। এই জটিলতার জের ধরে গত মাসে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণ স্থগিত হয়ে যায়। আর্জেন্টিনা চার ফুটবলারকে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হলেও চারজনই মাঠে হাজির হন। তিনজন তো একাদশেও ছিলেন। পরে তাদের মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন।

ব্রাজিল দল:

গোলরক্ষক: অ্যালিসন, ওভারটন, এডারসন; ডিফেন্ডার: ড্যানিলো, গিলার্মো আরানা, এমারসন রয়্যাল, অ্যালেক্স সান্দ্রো, এডার মিলিতাও, লুকাস ভেরিসিমো, মার্কুইনহস, থিয়াগো সিলভা; মিডফিল্ডার: ক্যাসেমিরো, ফ্যাবিনহো, ফ্রেড, এডেনিলসন, জেরসন, লুকাস পাকুয়েতা, এভারটন রিবেইরো; ফরোয়ার্ড: নেইমার, অ্যান্তনি, রাফিনহা, ভিনিচিয়াস জুনিয়র, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, মাথুস কুইয়া, গাবি।