ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক নম্বরে পাকিস্তান

সম্ভাবনাটা তৈরি হয়েছিলো আগেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার টেস্টের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করার পরই দুই নম্বরে উঠে যান মিসবাহ উল হকরা। ওদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে এক নম্বরে উঠে যায় ভারত। শ্রীলঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার হোয়াইটওয়াশ হওয়া ভারতের এক নম্বর জায়গাটা নিরাপদ করে দেয়। কিন্তু পোর্ট স্পেনের শেষ ম্যাচ ড্র করে পাকিস্তানের চেয়ে এক পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েন বিরাট কোহলিরা। এতেই হয়ে যায় ইতিহাস, প্রথমবারের মতো টেস্টর সেরা দল হয়ে যায় পাকিস্তান।

শ্রীলঙ্কা- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড- পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ; এই তিনটি সিরিজ শুরুর আগে এক নম্বরে ছিলো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শ্রীলঙ্কাতে কুপোকাত হয়ে শীর্ষস্থান হারায় অসিরা। এই সুযোগে তাদের হটিয়ে এক নম্বরে উঠে যায় ভারত।

অন্য দিকে ঘরের মাঠে সাত বছর ধরে টেস্ট খেলতে না পারলেও ধার কমেনি পাকিস্তানের। বরং দিনে দিনে মিসবাহের নেতৃত্বে ধারালোই হয়ে উঠছে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের মাটিতে মিসবাহ-ইউনিস ও ইয়াসির শাহের দারুণ পারফর্মে ভর করে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করে তারা।

এই পরিস্থিতিতে ভারত যদি তাদের শেষ ম্যাচ ড্র করে, তবে পাকিস্তানই শীর্ষে উঠে যাবে; এমন একটা সমীকরণ দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত হয়েছে তাই-ই। পোর্ট স্পেনের বেরসিক বৃষ্টি বিরাট কোহলিদের কোনো সুযোগই দেয়নি। অন্তত দিনটা দিন ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। যে বৃষ্টি ভারতের দুর্ভাগ্য, সেই বৃষ্টিই কপাল খুলে দিয়েছে পাকিস্তানের; নতুন ইতিহাস গড়েছেন মিসবাহরা।

পাকিস্তানের এক নম্বরে উঠার দৌড়টা অবশ্য শুরু হয়েছে বেশ আগে থেকেই। ২০১৪ সালের আগস্টের পর থেকে তারা কোনো টেস্ট সিরিজ হারেনি।

সর্বশেষ সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করার আগে এই সময়ের মধ্যে তারা শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে তাদেরকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে। বাংলাদেশ সফরে এসে পাকিস্তান জিতে গেছে ১-০ ব্যবধানে। তারপর আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করাও এগিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে। ফিলিপ হিউজের মৃত্যুর সময়ে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ১-১ ব্যবধানে ড্র করেন মিসবাহরা।

পাকিস্তানের শীর্ষে উঠার পথটা তাই সহজ ছিলো না। বরং কঠিন সব যুদ্ধ জিতেই শীর্ষে আরোহন করেছে তারা। এ দিকে এই অর্জনকে ‘গর্বের’ ব্যাপার আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ। তবে শীর্ষস্থানের আনন্দে ভেসে না গিয়ে ভালো পারফর্মটা ধারাবাহিকভাবে দেখতে চাইছেন তিনি।

মিসবাহ বলেন, ‘এক নম্বর হওয়ার পথে দলে যারা ছিলো সবাইকে কৃতিত্ব দিতে চাই। দলের সাপোর্ট স্টাফরাও এই কৃতিত্বের ভাগিদার। একই সঙ্গে বাজে সময়ে সমর্থকরা আমাদের নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে গেছেন। তাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ।’

আপনি আরো পড়তে পারেন

দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ

মিসবাহর ৩৪ বলে সেঞ্চুরি!

ভারতকে হটিয়ে এক নম্বর হওয়ার হাতছানি পাকিস্তানের

আরাফাত সানির পিতৃবিয়োগ

বোলিং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত তাসকিন