কে হচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর

আগামীকাল ২৬ সেপ্টেম্বর জার্মানির জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে যে দল জয়লাভ করবে তাদের প্রার্থী ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের স্থলাভিষিক্ত হবেন। মার্কেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন মধ্য-ডানপন্থী আর্মিন ল্যাশেটকে চ্যান্সেলর প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নির্বাচনী পূর্বাভাসে ভালো করেননি ল্যাশেট।

অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও আর্মিন ল্যাশেট

পোস্টওয়ার ইতিহাসে অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এই প্রথমবারের মতো কোনো চ্যান্সেলর, যিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। ৫৯৮ আসনে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে বিজয় লাভ করতে হলে আসন পেতে হবে ৩০০টি।

খবরে বলা হচ্ছে, জার্মান অর্থমন্ত্রী ওলাফ স্কোলজের নেতৃত্বে রয়েছে মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা। রাজনৈতিক দল দ্য গ্রিনস প্রথমবারের মতো চ্যান্সেলরের জন্য তাদের নিজস্ব প্রার্থী দিয়েছে অ্যানালেনা বেয়ারবককে। তার অবস্থান রয়েছে তৃতীয় স্থানে। কিন্তু সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছরের জার্মান নির্বাচন স্বাভাবিকের চেয়ে কম পূর্বাভাসযোগ্য, কারণ প্রার্থীরা বেশিরভাগ ভোটারের কাছে আপেক্ষিক। লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হেনড্রিক ট্রেগার বলেছেন, এটি অবশ্য সবচেয়ে বিরক্তিকর নির্বাচনে পরিণত হবে না।

পোলিং কোম্পানি ফোরসার পিটার ম্যাটাশ্চেক বলছেন, এই ভোটাররা অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের প্রার্থী ল্যাশেটের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠবে কি-না, তিনি প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও অন্য প্রার্থীকে ভোট দেবে কি-না, সেটাই এখন মূল প্রশ্ন।

অথবা ভোটাররা ভোট থেকে বিরত থাকবে কি-না, সেটাও বিবেচ্য। এই নির্বাচনে অনেকের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি রুখতে কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে বার্লিনে বড় বিক্ষোভ হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারিকেন্দ্রিক অর্থনীতি উদ্ধার ও পতন প্রচারাভিযানের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যদিও ২০১৭ সালের তুলনায় অনেক ভোটারের কাছে মাইগ্রেশন কম উদ্বেগের বিষয়।

বৈদেশিক নীতি বেশিরভাগ প্রচারাভিযানে কম গুরুত্ব পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চূড়ান্ত টিভি বিতর্কের সময় বৈদেশিক নীতির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। গ্রিনস পার্টি চীন সম্পর্কে কঠোর অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে।

নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রায় ৬০.৪ মিলিয়ন বা ছয় কোটি চার লাখ মানুষ ভোট দেবে। বিজয়ী দল একটি ক্ষমতাসীন জোট গঠনের চেষ্টা করবে। বামপন্থীরা গ্রিনস পার্টির দিকে আর স্যোসাল ডেমোক্র্যাটরা যাবে রক্ষণশীলদের দিকে।

নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলছেন, মহামারিজনিত কারণে এ বছর বেশি মানুষ ডাকযোগে ভোট দেবে। তবে এটি ভোটদানে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায় না।