একপেশে ডার্বি: উল্টোরথে লন্ডনের দুই ক্লাব

উপভোগ্য একটা লন্ডন ডার্বির আশায় যারা টিভি সেটের সামনে বসেছেন তাদের হতাশ করেছে আর্সেনাল। প্রতিবেশী টটেনহাম হটস্পারকে ডেকে এনে বিধ্বস্ত করে দিল গানাররা। রবিরাতে টটেনহামকে আর্সেনাল হারাল ৩-১ গোলে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এটা তাদের তৃতীয় জয়।

এমিরেটস স্টেডিয়ামে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে প্রথম অর্ধেই। আরো সংক্ষেপে বললে ৩৪ মিনিটের মধ্যে। এই সময়ের মধ্যে টটেনহামের জালে তিন তিনবার বল জড়ায় আর্সেনাল। গোলগুলো করেন যথাক্রমে স্মিথ রোভ, পিয়েরিক-এমেরিক আউবামেয়াং ও বুকায়ো সাকা। প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-০ গোলে।

ম্যাচের প্রথম ভাগে চমৎকার পারফর্ম করা আর্সেনাল কিছুটা খেই হারায় দ্বিতীয়ার্ধে। এই অর্ধে তারা নাগাল পায়নি জালের। বিপরীতে ম্যাচে ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ কিছু করতে হতো টটেনহামকে। কিন্তু দুর্দান্ত কোনো প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে পারেনি স্পার্সরা। তবে সান্ত্বনার একটি গোল অবশ্য পেয়েছে তারা।

৭৯ মিনিটে টটেনহামের স্বস্তির গোল করেন কোরিয়ান ফরওয়ার্ড সন হিয়ুং-মিন। ইংলিশ লিগে এনিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতল মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল। এর আগে লিগ শুরুর তিন ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে গানাররা। তবে জয় পাওয়া আগের দুই ম্যাচে একটি করে গোল করলেও লিগ মৌসুমে প্রথমবার একাধিক গোল পেল আর্সেনাল।

আর্সেনালের ঠিক বিপরীত অভিজ্ঞতা হলো টটেনহামের। লিগ শুরুর টানা তিন ম্যাচেই জিতেছিল স্পার্সরা। পরের তিন ম্যাচেই হারল টটেনহাম। আরো হতাশার কথা হচ্ছে, সবশেষ তিন ম্যাচে তারা গোল হজম করল নয়টি। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে সবশেষ এমন দুঃস্বপ্নের অভিজ্ঞতা হয়েছিল টটেনহামের।

দুর্দান্ত এই জয়ের পর নয় পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার দশ নম্বরে উঠে এলো আর্সেনাল। অন্যদিকে সমান ম্যাচ ও পয়েন্টে গোলগড়ে পিছিয়ে ১১ নম্বরে আছে টটেনহাম। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিভারপুল। দুই, তিন, চার ও পাঁচে আছে যথাক্রমে ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও এভারটন। চারটি দলেরই সংগ্রহ সমান ১৩ পয়েন্ট।

তবে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের। আজ ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠে জিতলে লিভারপুলকে টপকে শীর্ষে উঠে যাবে দলটি। কার্যত পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে ব্রাইটন।