জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর হচ্ছেন ওলাফ স্কোলজ

জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে জয়ের পথে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টি (এসডিপি)। গতকাল রোববারের নির্বাচনের পর বেসরকারি এক জরিপে এই তথ্য জানা গেছে। এর ফলে এসডিপি ২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। জার্মানির জনগণ দলটির ওলাফ স্কোলজকে নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে পেতে যাচ্ছে। অবসান হতে যাচ্ছে অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের ১৬ বছরের শাসনামল। এনডিটির খবর।

ওলাফ স্কোলজ

মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটসরা ২৬.৬ ভোট পেয়ে মার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) বা কনজারভেটিভ ব্লকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কনজারভেটিভ ব্লক পেয়েছে ২৫.৫ শতাংশ ভোট। দুপক্ষই সরকার গঠনে আশাবাদ প্রকাশ করেছে।

এবারের নির্বাচনে কোনো বড় দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করছে না। তবে দুপক্ষই আগের চার বছরের মতো জোট গড়তে চায় না। হয় সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট, না হয় মার্কেল সমর্থিত রক্ষণশীলদের নেতৃত্বে একটি ত্রিমুখী জোট হতে পারে।

অবসান হতে যাচ্ছে অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের ১৬ বছরের শাসনামল

খবরে বলা হচ্ছে, একটি নতুন জোট গঠিত হতে কয়েকমাস সময় লাগতে পারে। যে জোটই ক্ষমতায় যাক তাতে গ্রিনস পার্টি ও এডিপি জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোটের পর অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে গোলটেবিল আলোচনায় বসবে বিজয়ী দল।

তবে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটসের চ্যান্সেলর প্রার্থী, মার্কেল সরকারের অর্থমন্ত্রী ওলাফ স্কোলজ তার বিজয়ের বিষয়টি জানিয়ে রেখেছেন। তিনি জানান, আমরা এখন সব জরিপে এগিয়ে আছি। আমরা জার্মানির জন্য একটি ভালো ও বাস্তববাদী সরকার পেতে চাই।

এসপিডির উত্থান জার্মানির জন্য একটি পরিবির্তত প্রত্যাবর্তন চিহ্নিত করে, যা ২০১৭ সালের জাতীয় নির্বাচনে তাদের উত্থানের আভাস ছিল। ৬৩ বছর বয়সী স্কোলজ যুদ্ধপরবর্তী চতুর্থতম এসপিডি চ্যান্সেলর হবেন। এর আগে হয়েছিলেন উইলি ব্র্যান্ড, হেলমুট শ্মিট এবং গেরহার্ড শ্রোডার। তিনি হামবুর্গের সাবেক মেয়রও। তবে স্কোজের প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীল আরমিন ল্যাশেট এখনও পরাজয় স্বীকার করতে রাজি নন।

ল্যাশেট বলেছেন, তার দল সবসময় বিজয়ী হয়েছে তা নয়। আমি এমন একটি সরকার চাই যেখানে প্রত্যেক অংশীদার সরকারে সম্পৃক্ত থাকুক, যেখানে কেবল চ্যান্সেলরই সর্বেসর্বা হবেন না।

স্কোলজ এবং ল্যাশেট উভয়েই বলছেন, তারা ক্রিসমাসের আগে একটি জোট চুক্তি করতে চান। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণকে গুরুত্ব দিয়ে ভোটের পর পদত্যাগ করার কথা রয়েছে মার্কেলের। যখন জ্যাক শিরাক, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও টনি ব্লেয়ার বিশ্ব কাঁপাচ্ছিলেন, ওই সময় ২০০৫ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মার্কেলই ইউরোপীয় মঞ্চে নিজেকে জানান দেন।