ইংল্যান্ড না এলে কতোটা ক্ষতি হবে বাংলাদেশের?

শেষ পর্যন্ত কি বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল? আগামী দুই একদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে এই প্রশ্নের। সেই উত্তর যদি ‘না’ হয়, তবে কতোটা ক্ষতি হবে বাংলাদেশের?

কিছুদিন আগে পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ উল হককে প্রশ্ন করা হয়েছিলো ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর নিয়ে। পাকিস্তান টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আপাতত ইংল্যান্ডেই অবস্থান করছে। এর মধ্যেই তারা স্বাগতিকদের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে।

তো, ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর বিষয়ক প্রশ্নে মিসবাহ বলেন, ‘কোন দেশ কোন দেশে সফর করবে বা করবে না, এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এরপরও আমার মনে হয়, ইংল্যান্ড যদি বাংলাদেশ সফরে না যায়, তবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ।’

মিসবাহ কিন্তু কথাটা বলেছেন তার নিজের দেশের পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়া। এই কারণে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর না হলে যে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে, মিসবাহর এই অনুমানটা কোনোভাবেই ফেলে দেয়ার মতো নয়।

২০০৯ সালে সফররত শ্রীলঙ্কা দলের উপর পাকিস্তানের লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর পাকিস্তান থেকে এক রকম নির্বাসনেই চলে গেছে ক্রিকেট। ২০০৯ সালে পর আর কোনো টেস্ট খেলুড়ে দল পাকিস্তান সফরে যায়নি।

এতো লম্বা সময় ধরে দেশের মাটিতে ক্রিকেট না হওয়ায়, পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রায় মরতে বসেছে। স্বাভাবিকভাবেই সেটা প্রভাব ফেলেছে পাকিস্তান দলের পারফর্মেও। যদিও টেস্ট ক্রিকেটে ভালো খেলে ব্যাপারটা কিছুটা হলেও ঢেকে রেখেছেন মিসবাহরা।

ইংল্যান্ড যদি শেষ পর্যন্ত কোনো ‘খোঁড়া’ অজুহাত দঁড় করিয়ে বাংলাদেশ সফরে না আসে, তবে বাংলাদেশের পরিণতিও হতে পারে পাকিস্তানের মতো। যদিও আদতে পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ নেই বললেই চলে। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর চৌকস সব পদক্ষেপে বাংলাদেশের অবস্থা এখন যথেষ্টই ভালো।

তারপরও শঙ্কাটা থাকছেই। কারণ ইতোমধ্যেই একাধিক ব্রিটিশ মিডিয়া এমন খবর উঠে এসেছে, যা দেখে মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশ সফরে ইসিবির খুব একটা আগ্রহ নেই। ইংলিশ অধিনায়কও বাংলাদেশ সফর নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

গত বছর একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের আগে। বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠার মাত্র একদিন আগে সফর স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া। তারা নিরাপত্তার কথা বলে বাতিল করে দেয় সফরটি।

তবে ওই ঘটার তেমন একটা প্রভাব পড়েনি বাংলাদেশের ক্রিকেটে। অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করার পরও একটা পুরো বিশ্বকাপ (অনূর্ধ্ব-১৯) আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট অন্য রকম। ইংল্যান্ড যদি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফরে না আসে, তবে বাংলাদেশের বড় এক ক্ষতিই হয়ে যাবে। যা সহজেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব নাও হতে পারে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

ক্রিকেটার শাহাদাতের পক্ষেই সাক্ষ্য গৃহকর্মীর

ইংল্যান্ড আসবে, ফের আশা প্রকাশ মাশরাফির

বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী নন ইয়ন মরগান?

বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে ইংলিশদের উদ্ভট ‘শঙ্কা’

ফের মাঠে নামছেন আকরাম পাইলট সুজন দুর্জয়রা