আশা জাগাচ্ছে রপ্তানি আয়

করোনার মহামারির কারণে গত প্রায় দেড় বছর ধরে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে স্থবিরতা বিরাজ করছিল। ফলে সবকিছুতেই মন্দাভাব পরিলিক্ষত হয়েছে। তবে দ্রুত টিকা আবিষ্কারের কারণে পরিস্থিতি আগের চেয়ে খানিকটা উন্নতির দিকে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের স্থগিত ও বাতিল হওয়া ক্রয়াদেশগুলো আবার ফিরে আসছে। এতে বাড়ছে দেশের রপ্তানি।

ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রপ্তানি আয়, ফাইল ছবি

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ের মতো দ্বিতীয় মাস আগস্ট এবং তৃতীয় মাস সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরেও বেড়েছে দেশের রপ্তানি আয়। দেশের অর্থনীতি নিয়ে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে এই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্য শেষ হওয়া সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি থেকে দেশের আয় হয়েছে ৪১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আগের বছরের, ২০২০, একই সময়ে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩০১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮ শতাংশ।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ফাইল ছবি

রপ্তানি খাতের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল হচ্ছে। যার প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়ছে। অর্থাৎ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এর আগে বাতিল ও স্থগিত হওয়া রপ্তানি আদেশ পুনরায় ফিরতে শুরু করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, নতুন অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ১০২ কোটি ২০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৯৮৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে, প্রথম তিন মাস, রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে আরও বলছে, একক মাস হিসেবে গেল আগস্টে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে ২৯৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার। বছরের ব্যবধানে যা ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। এর আগের মাস বা নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৯১ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, অর্থবছরের প্রথম মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ে চেয়ে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।