অবশেষে ভারত থেকে টিকা এলো

অবশেষে প্রায় সাড়ে ৭ মাস পর ভারত থেকে করোনার টিকা এলো দেশে। দেশটির টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার, যা কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে সেরাম, ১০ লাখ ডোজ দেশে এসে পৌঁছেছে।

অবশেষে ভারত থেকে টিকা এলো

এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আজ শনিবার, ৯ অক্টোবর, সন্ধ্যা ৬টায় টিকার চালানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বেক্সিমকোর পক্ষে কর্মকর্তারা টিকা গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেরাম থেকে টিকা আনতে ত্রিপক্ষীয়, বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ও সেরাম ইনস্টিটিউট, যে চুক্তি হয়েছিল— সেই চুক্তির আওতায় কেনা টিকার অংশ হিসেবে এই চালান দেশে এসেছে। প্রথমে টিকাগুলো বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউসে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে সেখান থেকে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকা, ফাইল ছবি

টিকার পরবর্তী চালান কবে আসবে, সে বিষয়ে আগামী কোনো তথ্য দিতে পারেননি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার। বিষয়টি ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সরকার দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বেক্সিমকোর মাধ্যমে সেরামের সঙ্গে ৩ কোটি ডোজ কোভিশিল্ড টিকা কেনার চুক্তি করে। চুক্তির শর্তানুযায়ী প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ ডোজ টিকার দেওয়ার কথা। কিন্তু প্রথম চালানে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রথমে ৫০ লাখ ডোজ এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানো হয়।

এরপরই ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। তারপর থেকে আর কোনো টিকা দেশে আসেনি। যদিও বাংলাদেশ ৩ কোটি ডোজ টিকার জন্য অগ্রিম অর্থ পরিশোধ করে। ভারতে পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় কয়েকদিন আগে টিকা রপ্তানির অনুমতি দেয় দেশটির সরকার।

অপরদিকে, কেনা ছাড়াও ভারত সরকার তিন দফায় বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড টিকা উপহার দেয়।