১৭ জনকে খুন করে তরুণ বলছেন, দুঃখিত!

১৯ বছর বয়সী নিকোলাস ক্রুজ কমপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করতে গিয়েছিলেন মারজোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে। তার সাথে ছিল বৈধভাবে কেনা এআর-১৫ অ্যাসল্ট রাইফেল। সেখানে তিনি গুলি চালিয়ে ১৭ জন শিক্ষার্থী-কর্মচারীকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হলে গতকাল বুধবার আদালতে ভিকটিমদের আত্মীয়দের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ক্রুজ বলেন, ওই ঘটনার জন্য তিনি খুবই দুঃখিত। 

আদালতে নিকোলাস ক্রুজ

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের পার্কল্যান্ডের একটি হাই স্কুলে। এতে ১৪ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি মারা গিয়েছিলেন স্কুলের তিনজন কর্মচারী। গতকাল বুধবার বিচারক শেরার আদালতে নিকোলাস ক্রুজ এ হত্যাকাণ্ড চালানোর কথা স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভিকটিমদের আত্মীয়দের উদ্দেশ্যে ক্রুজ বলেন, আমি কোথায় যাব, বেঁচে থাকব নাকি মরে যাব, তা জুরিদের নয়, আপনাদের সিদ্ধান্ত। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর নিকোলাস বলেন, আমি যা করেছি তার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। আমি জানি, আমাকে প্রতিদিন এর সাথেই থাকতে হবে। আর এটা আমার জন্য দুঃস্বপ্নের মতো। যদি আমি দ্বিতীয় সুযোগ পাই তবে অন্যদের সাহায্য করার জন্য সাধ্যের সবকিছু করবো।

পার্কল্যান্ডের ডগলাস হাইস্কুল

নিকোলাস ক্রুজ এখন বিচারের পরবর্তী ধাপে যাবেন। সেখানে তিনি কমপক্ষে যাবজ্জীবন সাজার মুখোমুখি হতে পারেন। তবে প্রসিকিউটররা বলছেন, তারা নিকোলাসের মৃত্যুদণ্ড চাইবেন।

আইনজীবীরা জানান, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকা সত্ত্বেও নিকোলাস বৈধভাবেই অস্ত্রটি কেনেন। শাস্তিমূলক কারণে স্কুল থেকে বহিষ্কৃত নিকোলাসকে আগে থেকেই সহপাঠীদের জন্য সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তার ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া ফুটেজে দেখা গেছে, তার লক্ষ্য ছিল কমপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করা।

নিকোলাস ক্রুজের ওই হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিতে আন্দোলন হয়। শিক্ষার্থীরা এ দাবিতে ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’ নামে বিরাট এক মিছিলের আয়োজন করে। সে সময় বিষয়টি বেশ আলোড়ন তুলেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসে বিভক্তির কারণে আইনটি বাস্তবের মুখ দেখেনি।