সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা!

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটি আল-তানফে ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়েছে ইরান। বুলগেরিয়ান মিলিটারি ডটকম এই খবর দিয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ড্রোনগুলো চিহ্নিত করা ও তাদের সংখ্যা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে চারটি হামলাকারী ড্রোনের কথা বলা হচ্ছে। অপর সূত্র বলছে ড্রোন ছিল পাঁচটি।

সিরিয়ার মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর সতর্ক অবস্থান

সেন্টকম সিরিয়ার আল তানফে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, হামলায় চালকবিহীন ড্রোন ও রকেট উভয়ই ব্যবহার করা হয়। এসময় আমরা আত্মরক্ষার ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছি, সময়মতো সাড়া দেব। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের একজন সামরিক কর্মকর্তা স্কাই নিউজকে বলেন, প্রাথমিক মূল্যায়নে ইরানের পক্ষ থেকে হামলা হয়েছে বলে সন্দেহ। এ ব্যাপারে তদন্ত চলমান রয়েছে।

এদিকে, কারা এই হামলার পেছনে রয়েছে সে বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো তথ্য নেই। আল মায়াদিন টিভি জানিয়েছে, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সেনা ব্যারাক এবং বাইরের ভবনে আঘাত হানে। হতাহতের কোনো সরকারি তথ্য নেই। তবে হামলার ফলে ঘাঁটিতে আগুন লেগে যায়।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ

অন্যান্য সূত্র অনুসারে, ড্রোন নয়, হামলা চালায় মিগ-২৯ যোদ্ধারা। আল বাদিয়া ২৪ নিউজ এজেন্সি একইরকম তথ্য দিয়েছে। তাদের সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে একটি ড্রোন বায়ু হামলা হয়, তারপর মিগ বিমান হামলা হয়। তবে তারা কোন দেশের যোদ্ধা সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।

খবরে বলা হচ্ছে, ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে এটা নিশ্চিত। সামরিক বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন ওই এলাকায় আমেরিকানদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা রাডার সিস্টেম নেই। আরেকটি সূত্রের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘাঁটিতে রাডার সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে, কিন্তু তার কার্যকারিতা নষ্ট করেই হামলা হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে পেন্টাগন সিরিয়ার তিনটি ঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ইরানি গণমাধ্যম যে খবর দিয়েছিল তা অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, সিরিয়ায় আমাদের মিশন বহাল তবিয়তে রয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর মতে, বর্তমানে আরব প্রজাতন্ত্রে ৯০০ মার্কিন সেনা রয়েছে।