বাজার নিয়ন্ত্রণ: কৃষি মন্ত্রণালয়কে দুষলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দেয় না উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সেজন্য খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও ভোগের সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি করা সম্ভব হয় না। এতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে অনেক সময়। আজ রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ করেন তিনি।

টিপু মুনশি, ফাইল ছবি

‘বাংলাদেশের ৫০ বছর কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ নামের এর আয়োজন করে দৈনিক বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ)। এতে পেঁয়াজ সংকটের উদাহরণ টেনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের জ্বালায় অস্থির হয়ে পড়েছি। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেশে ২৫-২৬ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদনের কথা বলা আছে। এর বিপরীতে বছরে দরকার হয় ২৪-২৫ লাখ টন মেট্রিক টন। তাহলে আমদানি করতে হবে কেন, প্রশ্ন আসাটা খুবই স্বাভাবিক।

একইভাবে আলুর বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছর দেশে ১ কোটি ৫ লাখ টন আলু উৎপাদনের কথা বলেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আমাদের চাহিদা ৭০-৭৫ লাখ টন থাকায় সারপ্লাস থাকার কথা আলু। কিন্তু গত বছর আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হল, রপ্তানিও হল না। হিসাবে গণ্ডগোল আছে; আলুর উৎপাদন কম হয়েছে অথবা চাহিদা আরো বেশি। এ থেকে বোঝা যায়, পণ্যের মজুত ও চাহিদার বিষয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না কৃষি মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী

পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে দেশী পেঁয়াজ কমতে থাকায় ভারত থেকে আনতে হয়। এ ক্ষেত্রে দেশটির ওপর ৯০ শতাংশ নির্ভরশীল হওয়ায় আমদানি বন্ধ হলে বা সেদেশে দাম বাড়ালে তার প্রভাব পড়ে এদেশের বাজারেও।

এ জন্য কৃষিবিদদের সেপ্টেম্বর অক্টোবরে পেঁয়াজ পাওয়ার মতো বীজ আনার তাগিদ দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাড়ানো এবং নষ্টের পরিমাণ কমনো গেলে ৩-৪ বছরে পেঁয়াজের বাজারের সমস্যার সমাধান হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, এফএও কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন ও ইউএসএআইডি মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেন্স। এটি সঞ্চালনা করেন দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।