রিহ্যাব: নতুন ড্যাপে ফ্ল্যাটের দাম-বাসা ভাড়া বাড়বে

সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপ চূড়ান্ত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। সরকারের একাধিক মন্ত্রীও জানিয়েছেন, আসছে ডিসেম্বরের মধ্যে ড্যাপ চূড়ান্ত করা হবে।

সোনারগাঁও হোটেলে রিহ্যাবের সংবাদ সম্মেলন

এমনই প্রেক্ষাপটে রোববার, ৩১ অক্টোবর, রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল। এ সময় অন্যদের মধ্যে রিহ্যাবের প্রথম সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল, সহ-সভাপতি (ফিন্যান্স) মোহাম্মদ সোহেল রানা এবং শরীফ আলী খান উপস্থিত ছিলেন।

আলমগীর শামসুল আলামিন এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, প্রস্তাবিত ড্যাপ এবং সংশ্লিষ্ট খসড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২১ বাস্তবায়ন করা হলে নতুন ভবনের আয়তন অনেক কমে যাবে। এতে করে বাড়বে ফ্ল্যাটের দাম। বেড়ে যাবে বাসা ভাড়া। পাশাপাশি এটি নির্মাণ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিল্পের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

নতুন ড্যাপ অনুমোদন করা হলে ভবনের আয়তন কমপক্ষে ৩৩-৫৩ শতাংশ কমে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে যাবে। এতে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার বাসস্থানের স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে। সাধারণ ক্রেতা ও জমির মালিকসহ আবাসন ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

প্রস্তাবিত ড্যাপ ও ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, যেহেতু নির্মিতব্য ভবনের জন্য কমন ফ্যাসিলিটি, দাপ্তরিক এবং অন্যান্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যয় আগের মতোই থাকবে সেহেতু ফ্ল্যাটের মূল্য কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বেড়ে যাবে। এতে যৌক্তিকভাবে কমে যাবে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। একই সঙ্গে আবাসন সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হবে।

আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, নতুন ড্যাপ নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে যেহেতু ভবনের আয়তন ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে সেহেতু রড ও সিমেন্ট খাত, পাথর, বালি, সিরামিক, ইলেকট্রিক কেবল, টাইলস এবং পেইন্টসহ এ সংক্রান্ত অন্তত ২৬৯টি লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিজ গভীর সংকটে পতিত হবে।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বিধিমালায় যে নির্দেশনা রয়েছে সেটির কারণে জমির মালিকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেবে। ফ্ল্যাটের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার কারণে সীমাহীনভাবে বৃদ্ধি পাবে বাসা ভাড়া। রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় সাবলেটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ফলে এই মহানগরীতে সৃষ্টি হবে একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।