আপনি পড়ছেন

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায়, বিশেষ করে সবচেয়ে বিপর্যস্ত ও দরিদ্রতম ৪৮টি দেশের অর্থায়ন চাহিদার আশু স্বীকৃতি দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বে কার্বন নিঃসরণে এসব দেশের অবদান মাত্র শতকরা ৫ ভাগ। তাই ধনী দেশগুলোর কাছে এসব দেশের বিষয়ে স্বীকৃতি দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে কয়েক দফা প্রস্তাবও পেশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

pm hasina climate change summitপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে সিভিএফ এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর যৌথ পদক্ষেপের পাশাপাশি বাস্তবসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থানীয়ভাবে প্রাধান্য দিয়ে সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখন একটি বৈশ্বিক এবং আন্তঃসীমান্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন। এর মারাত্মক পরিণতি থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়।

আজ সোমবার, ১ নভেম্বর, কপ২৬ সম্মেলনস্থলের কমনওয়েলথ প্যাভিলিয়নে ‘সিভিএফ-কমনওয়েলথ হাই-লেভেল ডিসকাসন অন ক্লাইমেট প্রসপারিটি পার্টনারশিপ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দানকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং এসবের প্রভাব অপূরণীয় ক্ষতির অগ্রভাগে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে নাজুক দেশগুলোকে, যা বিশ্বব্যাপী খাদ্য, স্বাস্থ্য, জ্বালানি এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক আন্তঃসরকারি প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসি রিপোর্টের উল্লেখ করেন। এটি বিশ্বকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, এই গ্রহ ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে সকলকে জরুরি ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি সিভিএফ সদস্য দেশ কমনওয়েলথের সদস্য। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এসব দেশের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং অবদানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। যৌথ প্রচেষ্টা সিভিএফ এবং কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলো প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এ সময় সিভিএফের চেয়ার শেখ হাসিনা সিভিএফ এবং কমনওয়েলথের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার জন্য ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করেন।

প্রথমমত, আমাদের মধ্যে জ্ঞান ভাগাভাগি করে নেওয়া, গবেষণা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর বাড়াতে হবে যাতে আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই, সবুজ এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান অর্জন করা যায়। দ্বিতীয়ত, প্যারিস চুক্তিতে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের অভিন্ন অবস্থান, উন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষে বার্ষিক ১ হাজার কোটি ডলার সুরক্ষিত করতে আমাদের সাহায্য করতে পারে। জলবায়ু অর্থায়ন হতে হবে বিদ্যমান এবং ভবিষ্যত ওডিএর অতিরিক্ত। এই পরিমাণটি অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাতের সাথে বরাদ্দ করা উচিত।

তৃতীয়ত, জলবায়ু অভিবাসীদের সমস্যা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বৃদ্ধি পেয়েছে লবণাক্ততা। এ ছাড়া নদী ভাঙন, বন্যা এবং খরার কারণে মানুষ তাদের পৈতৃক ভিটা এবং ঐতিহ্যবাহী পেশা হারাচ্ছে। এ বিষয়গুলো আমাদের আলোচনা করা দরকার। একই সঙ্গে এসব মানুষের পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বব্যাপী দায়িত্ব নিতে হবে।

চতুর্থত, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে রাখতে তাদের (ধনীদের) উচ্চাভিলাষী এবং আগ্রাসী এনডিসি ঘোষণা করতে প্রধান নির্গমনকারী দেশগুলোর ওপর আমাদের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপকে চাপ হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া জ্বালানির প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নয়নশীল দেশগুলেতে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ প্রযুক্তি হন্তান্তর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পঞ্চমত, সিভিএফ এবং কমনওয়েলথ সদস্যদের উন্নয়ন চাহিদা বিবেচনায় নিতে হবে। সর্বোপরি আমাদেরকে অবশ্যই একসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাস্তবসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সমাধানগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে।

ষষ্ঠত, এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্তিশালী, সাহসী এবং দায়িত্বশীল পদক্ষেপের জন্য কার্যকর সহযোগিতা এবং সহযোগিতার তাৎপর্য প্রমাণ করেছে কোভিড-১৯ মহামারি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি হন্তান্তরের জন্য আমাদের দুর্বলতা এবং প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে, বলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.