সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করে ফাঁসলেন হুদা

বিদেশে অবস্থান করা সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। ‘মিথ্যা’ মামলা করার অভিযোগে উল্টো দায়েরকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক। এটি গ্রহণের বিষয়ে আগামী ২৪ নভেম্বর শুনানি হওয়ার কথা।

এসকে সিনহা ও নামজুল হুদা, ফাইল ছবি

জানা গেছে, মামলাটির বিচারকাজ চলছে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে। সম্প্রতি আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করেন দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ। বিষয়টি আমলে নিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ।

সংশ্লিষ্ট একজন আইনজীবী জানান, এসকে সিনহাকে ফাঁসাতে গিয়ে এখন নিজেই ফেঁসে যাচ্ছেন নাজমুল হুদা। মামলাটি যে মিথ্যা, সেটি চার্জশিটের মধ্য দিয়ে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখন কেবল আদালতে যুক্তিতর্ক দিয়ে প্রমাণ করা বাকি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এখন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্স, বিএনএর সভাপতি। তিনি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন

মামলায় দাবি করা হয়েছে, সাপ্তাহিক ‘খবরের অন্তরালে’র জন্য ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে হুদাকে ৭ বছর এবং তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট।

পরবর্তীতে দুদকের আপিলে রায়টি বাতিল করে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন বিচারপতি এসকে সিনহা। শুনানি শেষে হুদাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ। সে সময় মামলাটি ডিসমিস করতে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন এসকে সিনহা।

২ কোটি টাকা এবং ব্যাংক গ্যারান্টির ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার ওই দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দীর্ঘ দেড় বছর তদন্ত করে দুদক। সংস্থাটি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।

এছাড়া মামলাটি থেকে সিনহাকে অব্যাহতির আবেদন করা হলে অব্যাহতিও দেয়া হয়। সেইসঙ্গে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন দুদকের সৈয়দ ইকবাল।