নিউজিল্যান্ডকে সহজে জিততে দেয়নি স্কটল্যান্ড

লক্ষ্য ১৭৩ রানের। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এটা কঠিন চ্যালেঞ্জ বটে। নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া এই রান খর্বশক্তির স্কটল্যান্ডের জন্য এক প্রকার পাহাড়সম। কিন্তু বড় লক্ষ্যে ভড়কে যায়নি স্কটিশরা। শতভাগ দিয়েই লড়াই করেছে তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিতভাবেই জিতেছে কিউইরা। তবে জয়টা ১৬ রানের।

আজ দুবাই অন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকটে ১৭২ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৫৬ রান তুলতে সক্ষম হয় স্কটল্যান্ড। চার ম্যাচে তিন জয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগোলো কিউইরা।

নিউজিল্যান্ডের শক্তিশালী সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছেন মার্টিন গাপটিল। ৫৬ বলে ৯৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। ছয়টি চার ও সাত ছক্কায় গড়া ইনিংসটি খেলার পথে কিউই ওপেনার ছুঁয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিন হাজার রানের মাইলফলক। প্রথমবার এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন ভারতের বিরাট কোহলি।

ইনিংসটা খেলার পথে অবশ্য ভালোই চাপে ছিলেন গাপটিল। ৫২ রানের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল স্কটল্যান্ড। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালিয়ে যান গাপটিল। ঠিক বিপরীত অবস্থা তার সঙ্গীদের। ১১ বলে ১৩ রান করেন ওপেনার ডারিল মিচেল।

৩৩ রান করতে গ্লেন ফিলিপস খরচ করেন ৩৭ বল। তার এমন প্রস্তর যুগের ব্যাটিংয়ের কারণে দুশো রান করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। কিউইদের পতন হওয়া উইকেটের দুটি করে নিয়েছেন ব্রাডলি হুইল এবং সাফিয়ান শরিফ। বোলাররা লক্ষ্যমাত্রা নাগালে রাখতে পারেননি। তাই অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছে স্কটল্যান্ড ব্যাটারদের।

ইনিংসের শুরু থেকেই পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে ব্যাট করেছেন স্কটিশরা। উইকেট পড়লেও ভ্রুক্ষেপ ছিল না তাদের। বরং সাহসী ব্যাটিংয়ে একটা পর্যায়ে অঘটনেরও ইঙ্গিত দিয়েছিল তারা। যদিও দ্রুতই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেন নিউজিল্যান্ড বোলাররা। আস্কিং রেটের চাপে শেষ হয়ে যায় স্কটিশরা।

কুড়ি বলে তিনটি করে চার-ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন মিচেল লিস্ক। কিন্তু টর্নেডো ইনিংসটা কেবল দলের হারের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র। ২৯ বলে ২৭ রানে আউট হন ম্যাথু ক্রস। ১৮ বলে ২২ রানে ফেরেন ওপেনার জর্জ মুন্সি। আরেক ওপেনার ও অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার ১১ বলে করেন ১৭ রান।

এ ছাড়া রিচি বেরিংটন ১৭ বলে ২০ এবং কালাম ম্যাকলয়েড ১৫ বলে ১২ রানে আউট হন। স্কটিশদের পতন হওয়া উইকেটের দুটি করে নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট ও ইশ শোধি। একটি শিকার টিম সাউদির। তবে ব্যাট হাতে তাণ্ডব দেখানো গাপটিল অবধারিতভাবেই হয়েছেন ম্যাচ সেরা।