পাকিস্তান সিরিজে ভালো উইকেট চান হেরাথ

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে হারার পরই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তো ভরাডুবি হয়েছে। এবারের আসরে আর একটা ম্যাচ আছে টাইগারদের। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

রঙ্গনা হেরাথ

দুবাইতে ওই ম্যাচটা খেলেই আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরে আসবে টাইগাররা। আর আসর শেষ করে সরাসরি ঢাকায় আসবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ সফরে দুই সংস্করণে দুটি সিরিজ খেলবে বাবর আজমের দল। তিনটি টি-টোয়েন্টির পর দুটি টেস্ট ম্যাচের সূচি নির্ধারিত আছে।

পাঁচটি ম্যাচের চারটিই মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। টেস্ট সিরিজে স্পিনবান্ধব উইকেট থাকবে একটা এক প্রকার নিশ্চিত। কিন্তু জল্পনা চলছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের উইকেট নিয়ে। এই সিরিজের তিনটি ম্যাচই মিরপুরে। কেমন হবে পরবর্তী সিরিজে মিরপুরের উইকেট?

সবশেষ মিরপুরে যে দুটি সিরিজ হয়েছে সেখানে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজের রানখরার রেকর্ড হয়েছে। দুই সিরিজে দ্বিতীয় সারির নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে হারায় বাংলাদেশ। এক প্রকার ফাঁদ পেতে জায়ান্ট দল দুটিকে হারিয়েছে টাইগাররা। এতে করে রেকর্ড সংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

প্রশ্ন উঠেছে মিরপুরের উইকেট নিয়ে। মন্থর উইকেটে রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের। যদিও অমন উদ্ভট উইকেটে খেলে লাভ হয়নি। বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো হয়েছে স্পোর্টিং উইকেটে। তাই স্লো উইকেটে খেলে যে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা বাংলাদেশ নিয়েছিল, তার পুরোটাই বুমেরাং হয়েছে।

এবারের বিশ্বকাপে টাইগারদের ভরাডুবির নেপথ্য অন্যতম কারণ ছিল মিরপুরের বাজে উইকেটে জোড়া সিরিজ খেলে বড় আসরের প্রস্তুতি নেওয়া। মরুর দেশ থেকে আশাহত হয়ে ফিরছে আহত টাইগাররা। তাদের উজ্জীবিত করতে পারে বিশ্বকাপ পরবর্তী পাকিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজে ভিন্ন উইকেট চান বাংলাদেশের স্পিন কোচ ও শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি রঙ্গনা হেরাথ।

উইকেট সুবিধায় ব্যাটার-বোলারের সাম্যতা চান তিনি। আজ দুবাইতে সাংবাদিক বৈঠকে হেরাথ বলেছেন, 'এটা নির্ভর করছে, আমরা কোন মাঠে খেলছি এর উপর। আশা করছি, ভালো উইকেটে খেলা হবে। যেখানে ব্যাটার ও বোলারদের (সমান) সুযোগ থাকবে। সেদিক থেকে দেশের মাটিতে আমরা স্পোর্টিং উইকেট আশা করছি।'

উপমহাদেশের উইকেট এমনিতেই স্পিনবান্ধব। কিন্তু আধুনিক টি-টোয়েন্টি যুগে মন্থর উইকেটে খেলে বিশেষ কোনো ফায়দা হচ্ছে না। তাই রানের উইকেটে খেলাটা এখন সময়ের দাবি। এই তো সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারার পর তাসকিন আহমেদ দাবি তুলেছিলেন দেশে ফিরে রানের উইকেটে খেলার।

আগামী ১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ৪ ডিসেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে ফিরতি টেস্ট।