আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুল চালু করল তুরস্ক

আফগানিস্তানে তুর্কি সরকার পরিচালিত ১৪টি বালিকা বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০টি পুনরায় চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংসদীয় বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তুরস্ক কূটনীতির মাধ্যমে আফগান নারীদের সমর্থন করার চেষ্টা করছে।

মেভলুত কাভুসোগলু

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবেও গত মাসে একটি সফরকারী তালেবান প্রতিনিধি দলের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সেখানে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিকে তালেবান সরকারে সব দল ও গোষ্ঠীকে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান তিনি।

কাভুসোগলু বলেন, আফগানিস্তানে মাআরিফ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ১৪টি স্কুলের মধ্যে দশটি স্কুল আবার চালু হয়েছে। তুর্কি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয় ফাউন্ডেশনটি। এ প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তানে মোট ৮০টি স্কুল পরিচালনা করে, যার মধ্যে ১৪টি মেয়েদের জন্য।

তালেবানের বিরুদ্ধে আফগান নারীদের বিক্ষোভ

তালেবান সরকার গঠনের পর তুরস্কই একমাত্র ন্যাটো দেশ, কাবুলে যাদের একটি কার্যকর দূতাবাস চালু আছে। কাভুসোগলু বলেন, আফগানিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করা শিক্ষার্থী সেলগেই ইসমাইলকে তুরস্ক বৃত্তি দিয়েছে। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বৃত্তিসহ তুরস্কে মেডিকেল স্কুল প্রশিক্ষণ পাবেন। আমরা তালেবানদের কাছ থেকে তার জন্য একটি পাসপোর্টও পেয়েছি।

তুর্কি শীর্ষ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আঙ্কারা কাবুলে সম্প্রতি ৩৩ টন মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে। আরে মানবিক সহায়তা পাঠানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে। দেশ থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী প্রত্যাহারের পর বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ অর্থ ও সাহায্য প্রত্যাহারের ফলে আফগানিস্তান মারাত্মক খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।

কাভুসোগলু বলেন, কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালানোর জন্য তালেবান এবং কাতারের সাথে এখনও তুরস্কের আলোচনা চলছে। বিমানবন্দর পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য এক ডজন তুর্কি প্রযুক্তিবিদ কাবুলে রয়েছেন।