নতুন জার্মান সরকারকে ভয় পাচ্ছে চীন!

হংকংয়ের লেখক মার্ক ওনিল ইজিনসাইটে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি বলেছেন, চীন সবেমাত্র ইউরোপে তার সেরা বন্ধু অ্যাঞ্জেলা মার্কেলকে হারিয়েছে এবং তার পরবর্তী নতুন সরকারকে ভয় পাচ্ছে। জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে ১৬ বছর পর গত ২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন মার্কেল। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের নেতা ওলাফ স্কোলজ, যিনি তার দল, গ্রিনস এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের তিন-দলীয় জোটের প্রধান।

ওলাফ স্কোলজ

নিবন্ধে বলা হয়, জার্মানির নতুন সরকারের পলিসি প্ল্যাটফর্ম বেইজিংকে হংকংয়ের ওপর দখল শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, তাইওয়ান প্রণালীতে স্থিতাবস্থার যে কোনও পরিবর্তন কেবল শান্তিপূর্ণভাবে এবং পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।

জার্মানির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং গ্রিন পার্টির নেতা অ্যানালেনা বেয়ারবক ১ ডিসেম্বর বলেছেন, তিনি ফেব্রুয়ারিতে বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক বয়কটের বিষয়টি উড়িয়ে দেননি। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মূল্যবোধচালিত বৈদেশিক নীতি সর্বদা সংলাপের মাধ্যমে হতে হয়। জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের প্রতি আচরণ, সাংবাদিক ঝাং ঝেনকে আটক এবং টেনিস তারকা পেং শুয়াইয়ের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন মার্কেল

নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পান বলেছেন, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত অন্যান্য দেশ এবং অঞ্চলের সাথে আরও বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করে চীনের ওপর তাদের অতিরিক্ত নির্ভরতা হ্রাস করা। তিনি বলেন, এটির রপ্তানি বাজার এবং চীন থেকে আমদানির উৎসকে বৈচিত্র্যময় করা উচিত।

খবরে বলা হচ্ছে, নতুন জার্মান সরকার ইউরোপে ঐকমত্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বেইজিংয়ের পররাষ্ট্রনীতি, নেকড়ে যোদ্ধার ভাব এবং জাল সংবাদ প্রচারণা ইউরোপীয় জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক মতামতকে অসম্মান করেছে। হংকং, জিনজিয়াং এবং তাইওয়ান প্রণালীতে চীন যা করছে এবং ভিন্নমতাবলম্বী ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি এর আচরণের বৈধতা সম্পর্কে এর ব্যাখ্যা ইউরোপীয়দের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে।

তবে বেইজিং বিশ্বাস করে, এই সমালোচনার পেছনে চীনে ইউরোপের বিশাল অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। বিশেষ করে ইইউর মধ্যে বৃহত্তম বিনিয়োগকারী জার্মানির স্বার্থ তো রয়েছেই।