চলছে শৈত্যপ্রবাহ, পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে

রাজধানী ঢাকাসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি বিভাগের ওপর দিয়ে চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা আরো দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সোমবার আবহাওয়ার বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

চলছে শৈত্যপ্রবাহ, ফাইল ছবি

এতে জানানো হয়, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কয়েকটি জেলায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে পারদ। এর ফলে পৌষের শুরুতেই শীতে কাঁপছে দেশের বিশাল এলাকার মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশালে। আগামী দু’দিনে এর আরো বিস্তার ঘটতে পারে। সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকলেও সকাল-বিকাল হালকা কুয়াশা আর দিন-রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে-বাড়তে পারে।

আগুন পোহানো, ফাইল ছবি

বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৩, চট্টগ্রামে ১৬ দশমিক ৪, সিলেটে ১৪ দশমিক ৪, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ৪, খুলনায় ১১ দশমিক ৬ এবং বরিশালে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি।

এ ছাড়া রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বদলগাছি, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ডিমলা, রাজারহাট, চুয়াডাঙ্গা, মাদারিপুর, নেত্রকোনা, সীতাকুণ্ডু, ফেনী ও শ্রীমঙ্গলে ১৩-১০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ১০-এর নিচে নেমেছে রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বদলগাছি, তেঁতুলিয়া, রাজারহাট, যশোর ও বরিশালে। টাঙ্গাইল, মাদারিপুর, গোপালগঞ্জ, তাড়াশ, ডিমলা, মোংলা, সাতক্ষীরা ও কুমারখালিতে তাপমাত্রা ছিল ১০-এর ঘরে।

উত্তরের হিম বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে অনেকগুলো জেলায়। সাধারণ মানুষ সকাল-বিকাল খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতের কাঁপন থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে, যানবাহন চলছে বাতি জ্বালিয়ে। সব মিলিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে নিম্নআয়ের ও দিনমুজরদের। বিশেষ করে সকাল ও বিকালে তীব্র শীত অনুভব হওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষজন। তবে দুপুরে রোদের তাপ থাকায় কাজকর্ম স্বভাবিক করার চেষ্টা করেন তারা।

চলতি ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ আরো বাড়বে জানিয়ে আবহাওয়াবিদরা জানান, দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে ১-২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। তাতে তাপমাত্রা নামবে ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ৬-৮ ডিগ্রিতেও নামতে পারে।