৫১ মার্কিন কর্মকর্তার ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা

জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা রাখার অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্প, মাইক পম্পেওসহ ৫১ মার্কিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইরান। মার্কিন ড্রোন হামলায় সোলেইমানি নিহত হওয়ার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে এই পদক্ষেপ নেয় তেহরান।

কাসেম সোলেইমানির গাড়িতে মার্কিন ড্রোন হামলা

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জেনারেলের হত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগে ‘সন্ত্রাসী আইন’-এ তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

ইরান যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাদের অধিকাংশই সামরিক বাহিনীর সদস্য। মার্কিন চেয়ারম্যান অফ জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ মার্ক মিলি, সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান কেনেথ ম্যাকেঞ্জি, পেন্টাগনের কর্মকর্তা এবং এই অঞ্চলজুড়ে বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটির কমান্ডাররা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞাকে প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, ইরানের হাতে তাদের এমন কোনো সম্পদ নেই, যা বাজেয়াপ্ত করতে পারে। এছাড়া ভ্রমণসহ অন্য ক্ষেত্রেও ইরানের এ নিষেধাজ্ঞায় তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছরও ইরান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে সোলেইমানি হত্যায় ভূমিকা পালনকারী আটজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তারেরও দাবি জানিয়েছে তারা।

এই সপ্তাহের শুরুতে এক অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন- ট্রাম্প, পম্পেওসহ অন্যদের অবশ্যই একটি ‘ন্যায্য আদালতে’ বিচার করা উচিত। অন্যথায় প্রতিরোধ অক্ষে ইরান ও তার মিত্ররা তার প্রতিশোধ নিতে পারে নিজেদের মতো করে। এর আগে ইরান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদকে মার্কিন ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মার্কিন সামরিক বাহিনী ট্রাম্পের আদেশে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে জেনারেল সোলেইমানিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়। এ হামলায় পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ জেনারেলের সঙ্গীরাও নিহত হয়।