আপনি পড়ছেন

বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের আর কয়েক সপ্তাহ বাকি। এর মধ্যেই অনলাইনে একটি ক্যাম্পেইন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করছেন, অলিম্পিক উপলক্ষে ইংরেজি নামগুলো রোমান চাইনিজ হরফে লিখছে বেইজিং।

roman chineseঅলিম্পিক উপলক্ষে ইংরেজি নামগুলো রোমান চাইনিজ হরফে লিখছে চীন

চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে রোমান-চাইনিজ ভাষা ‘পিনজিন’ ব্যবহারের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, এতে বিদেশি অতিথিরা বিভ্রান্ত হবে। তারা এই ভাষা বুঝবে না।

বেইজিংয়ের একটি সুড়ঙ্গ পথের ভেতরে দেখা গেছে, ইংরেজি স্টেশন শব্দের পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘ঝান’। এটি রোমান হরফে রূপান্তরিত চাইনিজ পিনজিন ভাষা। সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইংরেজি স্টেশন যেমন- অলিম্পিক পার্ক ও টারমিনাল-২ এর পরিবর্তে লেখা হয়েছে, ‘অ্যাওলিনপাইক গঙজুয়ান’ এবং ‘২ হাও হ্যাঙঝানলু’।

গত সপ্তাহে বেইজিং সাবওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের চলমান এই ভাষার রূপান্তর প্রাসঙ্গিক নিয়মেই হয়েছে। তবে এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে তেমন প্রভাবিত করতে পারেনি। চীনা সামাজিক মাধ্যম উইবোতে এক মন্তব্যে বলা হয়েছে, ‘ইংরেজি ভাষান্তর বিদেশিদের পড়ার সুবিধার জন্য। তাহলে কেবল চাইনিজ ভাষা রাখা হচ্ছে কেন? এই ধরনের ভাষান্তর বাহুল্য।’

গত সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গুয়াংমিং ডেইলিও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই ধরনের ভাষান্তরের বাস্তবতা ও টার্গেট অডিয়েন্সকে কতটুকু সাহায্য করবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চীনাদের জন্য বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে পিনজিন ভাষা বুঝতে কারও সাহায্যের দরকার নেই। অধিকাংশ মানুষ পিনজিনের চেয়ে চাইনিজ ভাষা জানে। কিছু বয়স্ক চীনা বিদেশিরা অবশ্যই এই ভাষা বুঝবে না, যা ১৯৫০-এর দশকে চালু হয় এবং চীনা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এটি শেখানো হতো।’

এতে আরও বলা হয়, বিদেশি এবং চীনে অবস্থানরত বিদেশিরা পিনজিন ভাষা বুঝতে পারবে না। অলিম্পিক উপলক্ষে এই ভাষার পরিবর্তন বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। এটি চীনা জনগণের প্রয়োজন নেই এবং বিদেশিরা তা বুঝবে না।

ভাষান্তরের এই কাজ শুরু হয় গত মাসে। চীনের এই প্রচেষ্টার ফলে মনে করা হচ্ছে, পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে আদর্শগত লড়াইয়ের মধ্যেই দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি ক্রমগত ইংরেজদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।

শীতকালীন এই অলিম্পিক উপলক্ষে সড়কে সাইনবোর্ড ও সরকারি স্থানগুলোতে ইংরেজি ভাষান্তরের ভুল সংশোধনে ক্যাম্পেইন চালায়। ২০২০ সালে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদেশি প্রাইমেরি ও জুনিয়র স্কুলগুলোতে বিদেশি টেক্সটবুক নিষিদ্ধ করে। শিক্ষার্থীদের ওপর চীনা আদর্শের নীতি আরও কঠোর করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সূত্র : এএনআই

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.