আফগানিস্তানে দুই দফা ভূমিকম্প, নিহত ২৬

আফগানিস্তানে দুই দফা ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় বাদঘিস প্রদেশের কাদিস জেলায় গতকাল সোমবার ভূমিকম্পে বাড়ির ছাদ ধসে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। প্রথমটি আঘাত হানার চার ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রদেশের মুখপাত্র বাজ মোহাম্মদ সারওয়ারি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আল জাজিরা।

ভূমিকম্পে ধসে গেছে ঘর

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, অগভীর ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৩। ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের মতে, ভূমিকম্পটি ৩০ কিলোমিটার (১৮.৬৪ মাইল) গভীরতায় ছিল। ভূমিকম্পে নিহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচ নারী ও চার শিশু রয়েছেন।

সারওয়ারি বলেন, আরও চারজন আহত হয়েছেন। প্রথম উদ্ধারকারীরা ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় পৌঁছেছেন। তুর্কমেনিস্তানের সীমান্তবর্তী বাদঘিস একটি পার্বত্য প্রদেশ এবং আফগানিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র ও অনুন্নত অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

ভূমিকম্প

৪.৯ মাত্রার দ্বিতীয় ভূমিকম্প প্রথমটির চার ঘণ্টা পরে আঘাত হানে। জরুরি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জরুরি অপারেশন সেন্টারের প্রধান মোল্লা জনান সায়েকে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৭শটিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভূমিকম্পটি প্রদেশের মুকর জেলার বাসিন্দাদেরও ক্ষতি করেছে। তবে হতাহতের বিবরণ এখনও পাওয়া যায়নি। সারওয়ারি বলেন, প্রদেশ জুড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রাদেশিক রাজধানী কালা-ই-নাউতে কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছে, তবে বড় কোনো আঘাত বা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বাগদিস প্রদেশের কাদিস জেলা একটি বিধ্বংসী খরায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। গত ২০ বছরে ঘানি সরকারের পাওয়া আন্তর্জাতিক সাহায্য থেকে এ জেলা সামান্য সহায়তা পেয়েছে। এখন আফগানিস্তান একটি মানবিক বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে।

গত বছরের আগস্ট মাসে তালেবানের আসার পর দেশটির আরও অবনতি হয়েছে। তবে তালেবান সরকার বলছে, আগের ঘানি সরকার দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রেখে গেছে। যখন পশ্চিমা দেশগুলো আন্তর্জাতিক সাহায্য এবং বিদেশে রক্ষিত সম্পদ স্থগিত করে বিপর্যয় আরও বাড়িয়ে দেয়।