অল্পের জন্য মাঝ আকাশে রক্ষা পেল ৪০০ যাত্রীর প্রাণ

ভারতের আকাশে সংঘর্ষের মুখে পড়ে গিয়েছিল অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী দুই বিমান। আর কয়েক সেকেন্ড একইভাবে গড়ালে ঘটতে পারত ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তবে শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টায় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। রক্ষা পায় প্রায় ৪০০ প্রাণ। গত ৯ জানুয়ারি ভারতের বেঙ্গালুরুতে এই ঘটনা ঘটে।

ইন্ডিগো বিমান

জানা গেছে, মাঝ আকাশে মুখোমুখি চলে আসা দুটি বিমানই ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের। প্রথমটি বেঙ্গালুরু-কলকাতা ৬-ই৪৫৫। দ্বিতীয়টি বেঙ্গালুরু-ভুবনেশ্বর ৬-ই২৪৬। দুটি বিমানই পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে উড্ডয়ন করে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এটিসি’র ভুল নির্দেশের কারণেই বিমান দুটি একই উচ্চতায় চলে এসেছিল।

ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশনের (ডিজিসিএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেদিন দুটি রানওয়ে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ওই সময় যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি সাউথ রানওয়ে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে নর্থ রানওয়েকে কার্যকর করেন। তবে সাউথ রানওয়ে যে বন্ধ তা সাউথ টাওয়ার কন্ট্রোলারকে জানানো হয়নি। ফলে সাউথ টাওয়ার কন্ট্রোলার ৬ই৪৫৫ কলকাতাগামী বিমানকে যেতে অনুমতি দিয়ে দেয় সেই পথে। অন্যদিকে একই সময়ে নর্থ টাওয়ার কন্ট্রোলার ৬ই২৪৬ ভুবনেশ্বরগামী বিমানকে ওড়ার অনুমতি দেয়। পুরো ঘটনায় ছিল না কোনো সমন্বয়।

বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিজেদের মধ্যে যথাযথ সংযোগের অভাবেই এই বড় বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল দুটি বিমান। বেঙ্গালুরুর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বিমান দুটি যখন তিন হাজার মিটার ওপরে তখনই ঘটে যায় এমন ঘটনা।

এতে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে ডিজিসিএ। সংস্থাটির প্রধান অরুণ কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চার বছর আগে কলকাতা বিমানবন্দরের আকাশেও এ রকম সংঘর্ষ এড়িয়েছিল ইন্ডিগোর দুটি বিমান। এছাড়া কয়েকদিন আগেও দুবাই বিমানবন্দরে একই সময়ে ভারতগামী দুই বিমানের উড্ডয়ন প্রচেষ্টার কারণেও ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল।