নিউজিল্যান্ড থেকে প্রথম ত্রাণবাহী বিমান টোঙ্গায়

প্রথম বিদেশি ত্রাণবাহী বিমান টোঙ্গায় পৌঁছেছে, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জল এবং ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করেছে। নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের সামরিক বিমানটি টোঙ্গার প্রধান বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। তখনও কর্মীরা রানওয়ে থেকে ছাই পরিষ্কার করার কাজে ব্যস্ত ছিল। বিবিসি।

নিউজিল্যান্ড থেকে প্রথম ত্রাণবাহী বিমান পৌঁছেছে টোঙ্গায়

ত্রাণ সহয়তা নিয়ে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পাঠানো অন্যান্য বিমান ও জাহাজ পথে রয়েছে। ১৫ জানুয়ারি সমুদ্রের নিচের আগ্নেয়গিরির দুই দফা অগ্ন্যুৎপাতে সুনামি সৃষ্টি হয়। আগ্নেয়গিরির ছাই টোঙ্গাকে ঢেকে ফেলেছে। সমুদ্রের তলদেশে একমাত্র যোগাযোগ ক্যাবল ধ্বংস হয়ে গেছে। টোঙ্গা এখন বিপর্যয়ের মুখে। আগ্নেয়গিরির ছাই গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে। সমুদ্রের পানিও দূষিত হয়ে পড়েছে।

এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে কমপক্ষে তিনজন মারা গেছেন এবং টেলিযোগাযোগ বিকল হয়ে গেছে। টোঙ্গা পাঁচদিন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। এখন যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে শুরু করেছে দেশটি। রাজধানী নুকুআলোফা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ছাইয়ের একটি পুরু স্তর পড়ে যায়, যা বিমান অবতরণে বাধার সৃষ্টি করে।

টোঙ্গায় সমুদ্রের নিচের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত

কয়েকদিন ধরে উদ্ধারকারী দল এবং শত শত স্বেচ্ছাসেবক ঠেলাগাড়ি এবং বেলচা ব্যবহার করে টারমাক পরিষ্কার করার জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করেছে। যাকে নিউজিল্যান্ডের যৌথ বাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল জিম গিলমোর একটি ‘ম্যামথ এফোর্ট’ বা বিশাল তৎপরতা বলে অভিহিত করেছেন।বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাদের সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানটি টোঙ্গায় অবতরণ করেছে। এটিতে পানির পাত্র, অস্থায়ী আশ্রয়ের যন্ত্রপাতি, বিদ্যুৎ জেনারেটর, স্বাস্থ্যবিধি ও পারিবারিক জিনিসপত্র এবং যোগাযোগের সরঞ্জাম লোড করা ছিল।

অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দুটি বোয়িংয়ের মধ্যে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার ছিল প্রথমটি, যা উদ্ধার তৎপরতার যন্ত্রপাতি বহন করছিল। এছাড়া রানওয়ে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করার জন্য বিমানটিতে একটি ‘সুইপিং’ ডিভাইস ছিল।