আপনি পড়ছেন

ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে (ইউপি) নতুন সরকার নির্বাচন করার জন্য ভোটগ্রহণ চলছে। নারী ভোটারদের প্রতি অভূতপূর্ব মনোযোগ রয়েছে সরকারি দল বিজেপির। ইউপির জনসংখ্যা ব্রাজিলের চেয়েও বেশি। এর ১৫০ মিলিয়ন যোগ্য ভোটারের মধ্যে ৭০ মিলিয়ন নারী। আর প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নারীদের মন জয় করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। বিবিসি।

norendra modi 1নরেন্দ্র মোদি

বিরোধী কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অক্টোবরে যখন রাজ্যে দলের প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তখন বলেছিলেন, তাদের প্রার্থীদের ৪০ শতাংশ হবে নারী। ‘আমি একজন মেয়ে, আমি লড়তে পারি’ স্লোগান নিয়ে কংগ্রেস ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। দলটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভোটে জিতলে নারীদের জন্য চাকরির কোটা, বিনামূল্যে বাস পরিষেবা, বৈদ্যুতিক স্কুটার এবং স্মার্টফোনে অগ্রাধিকার থাকবে।

দলের মহিলা প্রার্থীদের তালিকায়ও বৈচিত্র এনেছে দলটি। একজন ধর্ষিতার মা, পুলিশের নির্যাতনের শিকার কর্মী, জেল খাটা মুসলিম কর্মী, একজন অভিনেতা এবং কিছু নারী সাংবাদিক রয়েছেন প্রার্থীদের মধ্যে। বিষয়টি নজর কেড়েছে ভোটারদের। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের অবস্থান ‘অ-খেলোয়াড়’ সুলভ, মাঠে যাদের সামান্য সমর্থন রয়েছে।

প্রদেশটিতে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টি। এই দলকে ঠেকাতে নারীবান্ধব কিছু প্রকল্প ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। গত ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হাজার হাজার নারীর এক সমাবেশে বলেছিলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে বিজেপিকে পুনরায় নির্বাচিত করা হবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার নারীর নিরাপত্তা দিয়েছে এবং তাদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেছে।

মোদি বলেন, তার শাসনামলে উত্তরপ্রদেশ এমন একটি প্রদেশে পরিণত হয়েছে, যেখানে নারীদের জন্য রয়েছে নিরাপদ এবং সুযোগ-সুবিধায় ভর্তি কার্যক্রম। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, নারীরা কি সত্যিই উত্তরপ্রদেশে উন্নতি করেছে? বলা হচ্ছে, ভারতের অন্যতম দরিদ্র রাজ্যটি মূলত পিতৃতান্ত্রিক এবং সামন্ততান্ত্রিক রয়ে গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুসারে, ২০১৫-২০১৬ এবং ২০১৯-২০২১ সালের মধ্যে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। সেগুলো হল, ৯০ শতাংশের বেশি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে, যা আগের পাঁচ বছরে ছিল ৭২.৬ শতাংশ। এছাড়া ৬৮.৮ শতাংশ বাড়িতে টয়লেট নির্মিত হয়েছে, গত পাঁচ বছর যা ছিল ৩৬.৪ শতাংশ।

এখন দুই বাড়ির একটিতে পরিষ্কার জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে নারী সাক্ষরতা এবং উচ্চ শিক্ষায় নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যের বিজেপি সাংসদ গীতা শাক্য বলছেন, আমাদের দল নারীদের অনেক সম্মান দেয়। সরকার নারীর জন্য অনেক কিছু করেছে।

তবে উদ্বেগেরও প্রচুর কারণ রয়েছে। খবরে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি প্রকাশিত প্রথম বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে (এমপিআই) দেখা গেছে, রাজ্যের ২৪০ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৪৪ শতাংশ পুষ্টি থেকে বঞ্চিত। লাখ লাখ শিশু স্কুলের বাইরে রয়ে গেছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর ক্ষেত্রেও রাজ্যটির অবস্থান খারাপ। জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ স্যানিটেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শ্রমশক্তিতে নারীদের কম অংশগ্রহণ রয়েছে।

করোনার আগেও ইউপির মাত্র ৯.৪ শতাংশ নারী কর্মক্ষেত্রে ছিলেন। সরকারি তথ্য দেখাচ্ছে, সংখ্যাটি গত দুই বছরে আরও কমেছে। মিসেস শাক্যও বলছেন, এটি চিন্তার কারণ। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবেন। গবেষক এবং অ্যাক্টিভিস্ট সাবু জর্জ বলছেন, উত্তরাপ্রদেশে ভ্রূণ হত্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। অনেক অবৈধ আল্ট্রাসাউন্ড ক্লিনিক এই জঘন্য কাজটির সঙ্গে জড়িত।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.