আর্থিক সঙ্কটে বন্ধের উপক্রম যুক্তরাষ্ট্রের আফগান দূতাবাস!

ওয়াশিংটনে অবস্থিত আফগান দূতাবাস দ্বিমুখী চাপে পড়েছে। চাপ থেকে উদ্ধার না হলে সেখানে আফগানিস্তানের কূটনৈতিক মিশনের ধারাবাহিকতা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে আফগান দূতাবাস

আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত সরকারের রিজার্ভ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আটকে পড়ায় তারা বড় ধরনের আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে। ফলে অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত আফগান দূতাবাসও আর্থিক দুরবস্থার সম্মুখীন। একজন শীর্ষ আফগান কূটনীতিক বলেন, আর্থিক সমস্যার সমাধান না হলে যুক্তরাষ্ট্রে আফগানিস্তানের কূটনৈতিক মিশনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রে আফগান দূতাবাসের ডেপুটি রাষ্ট্রদূত আবদুল হাদি নজরাবি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আফগান দূতাবাসকে তার সমস্ত সম্পত্তি হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে।

আফগানিস্তানের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ খারাপ

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে আফগান কূটনীতিকরা বেতন না পাওয়া এবং নির্বাসিত হওয়ার আশঙ্কার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি চেয়েছিলেন। এর প্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের কাছে ১ ফেব্রুয়ারি একটি চিঠি দেয়া হয়। তাতে আশ্রয়প্রার্থীদেরকে স্টেট ডিপার্টমেন্টে দূতাবাসের সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য তারিখ ঠিক করতে বলা হয়েছিল।

এদিকে, ওয়াশিংটনের আফগানিস্তান দূতাবাস বর্তমান আফগান সরকারের কাছ থেকেও বেশ কয়েকটি চিঠি পেয়েছে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রে আফগান কূটনৈতিক মিশনের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। ওই দূতাবাসের কর্মীরা জানান, কাবুল আমাদের কাছে এ বিষয়ে কাজ করার কথা বলেছে। কিন্তু আমরা এ ব্যাপারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলাম। কারণ আমরা এখনও সাবেক সরকারের (আশরাফ ঘানির) প্রতিনিধিত্ব করছি।

সাবেক সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মিশনগুলো ব্যাপক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়। এসব মিশন ও দূতাবাসের সদস্যরা গত ছয় মাস ধরে কেনো বেতন পাননি। এ অবস্থায় তারা রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ না করে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।