একসঙ্গে ৫ জনের বেশি শহীদ মিনারে নয়

আগামী সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিনটিতে গত বছরের মতো এবারো সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২ জনের বেশি একসঙ্গে শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন না। দেশে চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান

একই সঙ্গে সবাইকে অবশ্যই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। এর অংশ হিসেবে মাস্ক পরিধানের পাশাপাশি মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে যারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাবেন, তাদের সবাইকে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার সনদ সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাবির অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য, ভিসি অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি উপাচার্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, রাজনৈতিক দল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সর্বসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন। যাতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করা যায়।

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় তিন ফুট পর পর চিহ্ন থাকবে, যাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যায়। সবাই পর্যায়ক্রমে এই চিহ্ন অনুসরণ করে শহীদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রুটম্যাপ অনুসরণ করতে হবে।

ঢাবি উপাচার্য আরো বলেন, একই সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকরা হ্যান্ডমাইক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশ পথে অবস্থান করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রচারণা চালাবেন। এ ছাড়া তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করবেন। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।