বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা: অবস্থান পরিষ্কার করলেন জাফরুল্লাহ

নির্বাচন কমিশন, ইসির নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে সার্চ কমিটির কাছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা নাম জনা দিয়েছেন। দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এ ক্ষেত্রে সাড়া দেয়নি। তবে সার্চ কমিটির সংলাপে অংশ নিয়ে ৮ জনের নামও দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ফাইল ছবি

এক সময়ের বামপন্থী রাজনীতিক জাফরুল্লাহ নানা কারণে এখন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রায়ই তীর্যক আক্রমণ আসে। সবশেষ কয়েকদিন আগে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ বলেছেন, সার্চ কমিটিতে জাফরুল্লাহর দেওয়া নামগুলো বিএনপির প্রস্তাবিত নাম।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক আলোচনায় এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ‘কাশ্মির ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি’ শীর্ষক সভায় তিনি বলেন, আমি কখনো বিএনপির সদস্য ছিলাম না, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টাও না।

অনুষ্ঠানে কথা বলছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

সার্চ কমিটির বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ বলেন, সার্চ কমিটির সুপারিশকৃত ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আগে তা প্রকাশ করতে হবে। তাদের বিষয়ে জানাতে হবে এবং বক্তব্য রাখার সুযোগ দিতে হবে জনগণকে। সার্চ কমিটি জনগণের চেয়ে বেশি নয়, বরং জনগণই হলো আসল সার্চের মালিক।

আওয়ামী লীগ নেতা হানিফের ‘আবিষ্কার’ করা বিএনপির নামের প্রস্তাবকে ‘মিথ্যাচার’ মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, কেন এই ভুল তথ্য দেওয়া হলো, তা আমি জানি না। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় কোনো নেতার সঙ্গে গত ৩ মাসেও কথা হয়নি, আলাপ তো দূরের কথা। আমাকে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বলেছেন হানিফ, সেটিও আরেকটা ভুল তথ্য।

কিছু হলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বলা হয় উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। এই সরকার বঙ্গবন্ধুর কথা শোনে না, তাকে পূজা করে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠাতে হবে।