‘এসিড টেস্টে’ দুর্দান্ত বার্সা

গুছিয়ে ওঠা বার্সেলোনার পায়ের তলার মাটি কতটা শক্ত হয়েছে সেটা পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন প্রধান কোচ জাভি হার্নান্দেজ। নাপোলির মাঠে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটাকে দলটির কোচ নিয়েছিলেন ‘এসিড টেস্ট’ হিসেবে। এই পরীক্ষায় পাস করেছে তার দল। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নাপোলিকে উড়িয়ে দিল তাদেরই মাঠে। বার্সার জয়ের ব্যবধান ৪-২।

বার্সেলোনার বুনো উল্লাস

বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লিগের শেষ বত্রিশের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে পরিপূর্ণ বার্সাকেই দেখা গেল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে এগিয়ে জাভির দল উঠে গেল টুর্নামেন্টের শেষ আটে। প্রথম লেগে ন্যু ক্যাম্পে পিছিয়ে থেকেও নাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল কাতালান জায়ান্টরা। ফিরতি লিগে ধকল কাটিয়ে উঠল বার্সা। আর ঘরের মাঠে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল নাপোলি।

প্রথম বাঁশির ১৫ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে অতিথিরা। এ সময়ে নাপোলির জালে দুবার বল জড়ান জাভির শিষ্যরা। আট মিনিটে জর্ডি আলবার গোলের পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুন করেন ফ্রেঙ্কি ডি জং। শুরুর দিকে দুই গোল হজম করে হকচকিয়ে ওঠে নাপোলি। ২৩ মিনিটে ইনসিগনেরর পেনাল্টি গোলে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা; আভাস দেয় সমতায় ফেরার।

কিন্তু ওই এক গোলের ঘাটতি আর পুষিয়ে নিতে পারেনি নাপোলি। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে বরং আরেকটি গোল হজম করে বসে স্বাগতিক শিবির। এবার গোল করেন জেরার্ড পিকে। সম্প্রতি যিনি মাঠের ভেতরে এবং বাইরে দুই দিকেই সমানভাবে আলোচিত-সমালোচিত। বার্সার জয় যখন নিশ্চিত তখন স্কোরার শিটে নাম তোলেন ক্লাবের আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিক ম্যান পিয়েরি-এমেরিক আউবামেয়াং। ৫৯ মিনিটে দলের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন তিনি।

৮৭ মিনিটে হারের ব্যবধান কমায় নাপোলি। দলটির পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন পলিটানো। তবে দুর্দান্ত খেলেও গোল পাননি অ্যাডামা ত্রাওরে। যদিও বার্সার শুরু ও শেষ দুই গোলেরই উৎস ছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে বিগ ম্যাচে নিখুঁত একটা পারফরম্যান্সই উপহার দিল কাতালানারা। আজ শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্বের দুই লেগের ম্যাচ দুটি আগামী ১০ ও ১৭ মার্চ।

ইউরোপে এখন চলছে যুদ্ধের দামামা। ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। আঞ্চলিক প্রভাব ধরে রাখতেই ইউক্রেনিয়ানদের ওপর তোপ দাগাচ্ছে রাশানরা। এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান এসেছে গতকাল রাতে ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতার ম্যাচগুলো থেকে। বার্সাও ম্যাচ শুরুর আগে ‘যুদ্ধ থামাও’ ব্যানার নিয়ে পোজ দিয়েছিল মাঠে।