আপনি পড়ছেন

চীন কেন রাশিয়া এবং পুতিনের সমর্থনে দ্রুত দাঁড়াতে পেরেছে কিংবা পশ্চিমা ব্লককে সমর্থন করেনি, তার একটা যুতসই কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে চীন এখনও কোনো নিন্দা জানায়নি, এর মানে রাশিয়াকে সমর্থন করে চীন। আর এর মূল কারণ হল তাইওয়ান। বিবিসি।

putin xi jinpingভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিং

তাইওয়ান একটি স্বশাসিত দ্বীপদেশ। বেইজিং তাইওয়ানকে বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে দেখে আসছে। তাইওয়ান একটি অঞ্চল যেটিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং তার মাতৃভূমির সাথে একাত্ম দেখতে চান। শি যদি সামরিক শক্তি দিয়ে তাইওয়ানকে দখল করতেন, তাহলে চীন সম্ভবত একই রকম নিন্দার মুখোমুখি হবে, যা রাশিয়া পাচ্ছে। তবে চীন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের কাছ থেকে আরও বেশি প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হত।

তবে তাইওয়ান ইউক্রেন নয়। আর কিছু না হলেও দুই জায়গার আইনি মর্যাদা অন্তত আলাদা। তবে চীন রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগকে বৈধ বলে স্বীকার করে। এর সাথে জটিল এবং অনন্য ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের হিসাব-নিকাশ রয়েছে। তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার মূল নীতির বিষয়ে চীন সতর্ক। চীনের নেতা সম্ভবত এমন একটি ন্যায্যতা চাচ্ছেন, যাতে তাইওয়ানের দাবিকে বৈধভাবে প্রমাণ করা যায়। এজন্য তাইওয়ানের ব্যাপারে চীন রাশিয়ারও সমর্থন চায়।

এত হিসাব-নিকাশ ছাড়াও পুতিন-শির মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত সম্পর্ক। দুজন এখন প্রায় ৪০ বার ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছেন। গত মাসে পুতিন চীনে শীতকালীন গেমসের জন্য সফর করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কঠিন সময়ে রাশিয়ার নেতা পুতিনের সফর গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পুতিন-শি উভয়ই স্বৈরাচারী নেতা। তবে জনগণ ও মাতৃভূমির সঙ্গে তাদের শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে। নিজের প্রতি তাদের গভীর আনুগত্য ও সুসম্পর্ক সৃৃষ্টির উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। জিনপিং এমন একটি ভবিষ্যত দেখেন, যেখানে চীনের থাকবে একটি বিশাল অর্থনীতি। চীনা জাতি হবে আরও আত্মনির্ভরশীল। চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও কিছু করার চেষ্টা করছে।

এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর চীন অবদান রাখার চেষ্টা করছে। চীন রাজনীতি করছে নির্বাচনী রাজনীতি নয়, তারা যুদ্ধরত জাতির সঙ্গে মেলামেশার রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। চীন তার জনগণের কাছ থেকে বেশিরভাগই ব্যাপারই সেন্সর করে। এসব কারণে রাশিয়ার প্রতি চীনের সহানুভূতি রয়েছে।

শি জিনপিং ও তার অনুসারী বিশ্বনেতাদের এটা বুঝতে হবে, সবকিছুর একটি সীমা রয়েছে। অবশ্যই রাশিয়াকে পিছিয়ে যেতে হবে। ধাপে ধাপে মস্কোকে মধ্যস্থতায় আসতে হবে। এমন একটি ভূমিকা যা ইউক্রেন আগে থেকেই চেয়েছিল। তবে শান্তি ফেরানোর কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ দেখাতে পারেনি।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.