আফগানিস্তানে হতাহতের রিপোর্ট প্রকাশ করল জাতিসংঘ

গত বছরের আগস্টের মাঝামাঝি আফগানিস্তান দখল করে তালেবান। এরপর আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরাত নাম দিয়ে মন্ত্রিসভা ঘোষণা করে। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ দেশটিতে বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ৩৯৭ জন বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। বিবিসি।

তালেবান নেতৃত্ব, ফাইল ছবি

জেনেভায় গত সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বলেছেন, আফগানিস্তানে নিয়োজিত জাতিসংঘের মিশন ইউএনএমএ দেশটিতে কমপক্ষে ১ হাজার ১৫৩ বেসামরিক হতাহতের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এর মধ্যে মারা গেছেন আফগানিস্তানে ৩৯৭ জন।

আফগানিস্তানে সার্বিকভাবে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা অনেক হ্রাস পেয়েছে। তবে অনেক আফগানের জন্য মানবাধিকার পরিস্থিতি এখনো গভীর উদ্বেগের। আইএস-কে দেশটিতে শিয়া মুসলিমদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে।

মিশেল ব্যাচেলেট

ব্যাচেলেট বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে জনসাধারণের জায়গায় লাশ রেখে শিরশ্ছেদ করার ঘটনাসহ আইএসের সাথে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ‘৫০টিরও বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ রেকর্ড করা হয়েছে।

দেশে বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে এমন প্রতিবেদন সম্পর্কে ইসলামিক আমিরাত এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। আফগানিস্তানের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি আবদুল গাফর কামিয়াব বলেছেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে দেশে হতাহতের সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আহমদ খান আন্দার বলেন, আমরা ইসলামিক আমিরাত এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে আমাদের জনগণ শান্তিতে বসবাস করতে পারে।

ব্যাচেলেট আফগানিস্তানের মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা চরম মাত্রার ক্ষুধার্ত। শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ ও শিশুদের বিক্রির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় আফগানিস্তানের স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাই।